Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

বিয়ের প্রতিশ্রূতি দিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে সহবাস

জানুয়ারি ১, ২০১৫, ০২:৩৩ পিএম


বিয়ের প্রতিশ্রূতি দিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে সহবাস

  বিয়ের প্রতিশ্রূতি দিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে সহবাস। পরে সম্পর্কের কথাই অস্বীকার। এমনকী নতুন জীবন শুরু করতে অন্যত্র বিয়েও ঠিক হয়ে যায়। হয় আশীর্বাদ। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। প্রেমিকার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের জালে গ্রেপ্তার হল পুলিশই। পুরুলিয়া শহরের এই ঘটনায় ধৃত পুলিশকর্মীর নাম প্রতীক সহিস। তাঁর বাড়ি শহরের হুচুকপাড়ায়। তিনি রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের এগারো নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কনস্টেবল। বর্তমানে  ওই ব্যাটেলিয়ানের সদর দপ্তর পুরুলিয়া মফস্বলের ছররায় কর্মরত।

গত বুধবার ধৃত পুলিশের প্রেমিকা পুরুলিয়া সদর থানায় অভিযোগ করলে ওই রাতেই অভিযুক্ত কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করে পুরুলিয়া সদর থানা। বৃহস্পতিবার ধৃতকে কড়া পুলিশি পাহারায় পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে তার পুলিশ হেফাজত হয়। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীরকুমার বলেন, ওই কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। এদিন দুপুরে অভিযোগকারী যুবতীর ডাক্তারি পরীক্ষাও হয় পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালে। ডাক্তারি পরীক্ষা হবে অভিযুক্ত কনস্টেবলেরও।

কনস্টেবলের এই প্রেমিকার বাড়িও শহরের হুচুক পাড়ায়। প্রায় বছর তিনেক ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তাঁদের। বিয়ের প্রতিশ্রূতি দিয়ে ওই পুলিশকর্মী একাধিকবার সহবাস করেন বলে অভিযোগ। কিন্ত্ত সম্পর্কে হঠাত্ই তাল কাটে মাস ছয়েক আগে। যুবতীর অভিযোগ, প্রতীক কেন এভাবে বদলে গেল বুঝতে পারছি না। অথচ বিয়ে করবে বলে কত স্বপ্ণ দেখিয়েছিল। একাধিকবার সহবাসও হয়। এর মধ্যেই প্রেমিকার পরিবার জানতে পারে এই পুলিশ কর্মীর অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে। আশীর্বাদও হয়ে গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৭ ফেব্রূয়ারি আসানসোলের গৌরাঙ্গডিতে বিয়ের দিনক্ষণ স্হির হয়েছে। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন ধৃত পুলিশকর্মী। তাঁর কথায়, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে ব্ল্যাকমেল করা হচেছ। ওই ঘটনার সঙ্গে আমি কোনওভাবেই যুক্ত নই।  
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন