Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

বিশ্ব আবহাওয়া দিবস কেন পালন করা হয়?

আমার সংবাদ ডেস্ক

মার্চ ২৩, ২০২১, ০৯:১৫ এএম


বিশ্ব আবহাওয়া দিবস কেন পালন করা হয়?

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশের স্বাভাবিক নিয়মগুলো বদলে যাচ্ছে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের খারাপ প্রভাব পড়ছে সর্বত্র। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করতে সোচ্চার হচ্ছেন পরিবেশবিদেরা। কিন্তু লাভের লাভ হচ্ছে না। চলছে প্রকৃতি ধ্বংসের কাজ। এর প্রভাবই পড়ছে নীল গ্রহের আবহাওয়ায়। এমন একটি অবস্থার মধ্যেই বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে ৭০তম বিশ্ব আবহাওয়া দিবস।

‘সমুদ্র আমাদের জলবায়ু ও আবহাওয়া।’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশসহ ১৯১টি দেশে আজ (২৩ মার্চ) ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস’ পালিত হচ্ছে।

দৈনন্দিন আবহাওয়া ও জলবায়ুতে মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে উত্পন্ন অতিরিক্ত তাপের প্রভাব পড়ছে। সমুদ্রের পরিবেশ দূষণের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে এবারের দিবসে সমুদ্রকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জাতিসংঘ ২০২১-৩০ পর্যন্ত সময়কে সমুদ্র দশক হিসেবে ঘোষণা করেছে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা স্থাপিত হয়েছিল ১৯৫০ সালে। এর আগে, ১৮৭৩ সালে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থা থেকে এর উত্‍পত্তি হয়। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ১৯১টি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে। এর প্রধান কার্যালয় সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে অবস্থিত। ১৯৬১ সাল থেকে সারা বিশ্বে ২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালিত হয়ে আসছে।

তবে বিশ্ব আবহাওয়া দিবস কেন পালন করা হয় ?

বিশ্ব উষ্ণায়নের বাস্তবতায় তাপমাত্রাকে স্থিতাবস্থায় নিয়ে আসার জন্য সম্মিলিত চেষ্টার কোনো বিকল্প নেই। সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা এবং সমুদ্রের উপরিতলের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো চরম ঘটনাগুলোর সংখ্যা, তীব্রতা ও মাত্রা পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিশ্ব উষ্ণতার কারণে বিশ্বজুড়ে আবহাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে টালমাটাল অবস্থা। সমুদ্র জলের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় উপকূলবর্তী দেশগুলো বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, জলোচ্ছ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে জনমানুষের ক্ষয়ক্ষতিও বেড়েছে। এসব সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই প্রতিবছর এই দিবসটি মূলত পালন করা হয়।

সমুদ্র উপকূলীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বৈরী আবহাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিয়মিতই। দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ আবহাওয়া অধিদপ্তর বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল প্রধান অতিথি থাকবেন। এ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরসহ গুরুত্ব অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন শাখা অফিসসমূহ দিবসটি সীমিত আকারে পালনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

এ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও প্রামাণ্য চিত্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেলা ৩টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিষদ কর্তৃক একটি টেকনিক্যাল সেশনের আয়োজন করা হবে। এছাড়া ঢাকা, কক্সবাজার, খেপুপাড়া, রংপুর ও মৌলভীবাজারের অপারেশনাল ইউনিট ও রাডার স্টেশনসমূহ জনসাধারণের প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

আমারসংবাদ/এডি