Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

টিকটক স্টার মেঘার গল্প

আমার সংবাদ ডেস্ক

জুন ২৭, ২০২১, ০৯:৩০ এএম


টিকটক স্টার মেঘার গল্প

কঠোর পরিশ্রম, অধ্যাবসায় আর মনোবল দিয়েই পৃথিবী জয় করেছে অনেক মানুষ। এর প্রমাণ রয়েছে আমাদের সমাজে অনেক। কেউ জন্মগতভাবে কিংবা দুর্ঘটনাজনিতভাবে অনেকেই শরীরের একটি অঙ্গ হারিয়ে জয় করেছেন পৃথিবী।

স্বাভাবিক মানুষের চেয়েও ভালোভাবে জীবনযাপন করেন তারা। এমন অনেকের কথাই তো জেনেছি আমরা। আজ এমন একজন অদম্য মনোবলের মানুষের কথা জানাবো যিনি মনের জোড়েই নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে জয় করেছেন। 

নাম তার মেঘা ঘিমিরে। ২৩ বছব বয়সী একজন নারী। নেপালের বাসিন্দা তিনি।

জানা যায়, মেঘা ঘিমিরের জন্মের সময় দুই হাতই ছিল। বৈদ্যুতিক এক দুর্ঘটনায় দুটি হাতই কেটে ফেলতে হয় মেঘার। এরপরও দমে যাননি তিনি। নাচ আর দৈনন্দিন কাজের ভিডিও তৈরি করে নিয়মিত পোস্ট করেন টিকটকে। আর সেসব ভিডিও উপভোগ করেন বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ। তার এসব ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হয় অসংখ্য মানুষ।

মেঘা ঘিমিরের ফলোয়ার সংখ্যা ২৫ লাখ এবং তার লাইক পড়েছে ৪৬ লাখ। মেঘা বলেন, শুরুতে মজার জন্য ভিডিও বানাতাম। এরপর অনেকে আমাকে সহযোগিতা করেছে। টিকটকে প্রচুর ফলোয়ার পেয়েছি। আমার ভিডিও দেখে অনেকে অনুপ্রাণিত হয় বলে মনটা ভরে ওঠে। মেঘার কৃত্রিম হাত ব্যবহারের ওপর তার ভিডিওটি ১৭ লাখ লোক দেখেছে।

মেঘার কৃত্রিম হাত ব্যবহারের করে সারা দিনের কাজের ভিডিও করে। আর ভিডিওটি ১৭ লাখ লোক দেখছে
মেঘার কৃত্রিম হাত ব্যবহারের করে সারা দিনের কাজের ভিডিও করে। আর ভিডিওটি ১৭ লাখ লোক দেখছে

মেঘা জানায়, ১৮ বছর বয়সে ব্যালকনিতে একদিন আমার গায়ে বৈদ্যুতিক শক্ লাগে। আমি প্রথমে জানতাম না সেখানে খোলা তার ছিল। যখন হাত তুলেছিলাম তখন হাতে বিদ্যুতের প্রচণ্ড ধাক্কা লাগে। ঐ তার দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ প্রবাহ হচ্ছিল। সেদিন পুরো গায়ে বিদ্যুতের স্পর্শ লাগলে আমি বাঁচতে পারতাম না।

মেঘা তার কৃত্রিম হাতের থেকে তার পা আর মুখ ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করেন। সে জানায়, হাত দুটি চলে যাওয়ার পর কোনো কাজ করতে পারতাম না। বাবা ও মা আমার সব কাজ করে দিতেন। পোশাক পরানো, টয়লেটে নিয়ে যাওয়া ও গোসল করানো সবই করাতেন। এরপর ধীরে ধীরে পা ব্যবহার করে খাওয়াসহ সব কাজ করতে শিখলাম। এভাবে মনোবল ফিরে পেলাম।

সুত্র-বিবিসি

আমারসংবাদ/এডি