রাব্বি হোসেন
নভেম্বর ১৪, ২০২১, ০৭:০০ এএম
শীতের আগমনী বাতাস লেগেছে পরিবেশে। সন্ধ্যা নামতেই বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা। ভোরের দিকে চাদর বিছিয়ে দিচ্ছে কুয়াশা। এখনো জেঁকে না বসেলেও শীতকে স্বাগত জানিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশের ফুটপাত ও বড় বড় শপিংমলগুলোতে গরম কাপড়ের পসরা নিয়ে বসেছেন দোকানিরা।
ক্রেতাদেরও ভিড় বাড়ছে দিনদিন। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে কেনা বেঁচা। শীতের পোশাককে সামনে এনে গুটিয়ে নেয়া হয়েছে পুরোনা সব পোশাক। প্যান্ট, শার্ট এর বদলে দোকানের অধিকাংশ জায়গা দখল করেছে সুয়েটার, কম্বল সহ শীতের পোশাক।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর ওয়াইজঘাট, সদরঘাট, গুলিস্তান, বঙ্গবাজার, মতিঝিল, নিউ মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, মিরপুর, দেশের বড় বড় শপিংমলগুলোতে শীতবস্ত্রের মেলা বসেছে। এসব বিপণিবিতানগুলোতে শীতের পোশাক কিনতে জড়ো হচ্ছেন ক্রেতারা। তবে বেচা-কেনা এখনো তেমন একটা জমে ওঠেনি।
রাজধনীর গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্স মার্কেটে কথা হয় ক্রেতা মোবারক হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, ‘এখনো পুরো শীত আসেনি। ঢাকায় পুরোপুরি শীত এলে শীতের পোশাকের দাম বেড়ে যাবে। তাই এখনই কিনে নিচ্ছি। গুলিস্তানে মোটামুটি কম দামে কেনা যায়।’
আরেক ক্রেতা মারিয়া খাতুন বলেন, শীত আসার আগেই গরম কাপড় কিনে নিচ্ছি। প্রতিবছরই আমি গুলিস্তান থেকে কেনাকাটা করি। দামে মোটামুটি কম পাওয়া যায়। দেখে কিনতে পারলে মানেও ভালো হয়।
গুলিস্তানের বঙ্গবাজার পাইকারি দোকানে কাপড়ের পসরা নিয়ে বসেছেন বিক্রেতা গোলামুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘এখন শীতের সময়। শীতকে সামনে রেখে নতুন কাপড় উঠানো হয়েছে। এখানে আমরা সব পাইকারি বিক্রি করি। ছোট-বড়, সব বয়সী মেয়েদের সোয়েটার, মোটা কাপড়ের সর্টস, লং কুর্তি আছে। দাম ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। কম্বল ডিজাইন ও মানের উপর বিক্রি হয়। একেকটা কম্বল ১ হাজার থেকে ৫হাজার টাকা দামেও বিক্রি হয়। গত দুই-তিন দিনে বিক্রি একটু বেড়েছে। শীত যত বাড়বে বেচা কেনাও বাড়বে।’
আরেক বিক্রেতা বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন মার্কেট প্রায় ক্রেতাশূন্য ছিল। গত দুই-তিন দিন ধরে কম্বল, জ্যাকেট, সোয়েটার ও শাল কিনতে ক্রেতারা আসছেন। বেচা-কেনাও ভালো হচ্ছে।’
দাম:
ডিজাইনের ওপর পোশাকের দামেরও ভিন্নতা আছে। বিভিন্ন ধরনের চামড়ার নকশা করা জ্যাকেট কেনা যাবে ১ হাজার ৮০০ থেকে ৮ হাজার টাকায়। ক্যাজুয়াল ব্লেজারের দাম পড়বে ১ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা। হুডি জ্যাকেট বা সোয়েটার দোকানভেদে দাম পড়বে ৯০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। আর উলের সোয়েটার ৭০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তাঁতের শালগুলোর দাম পড়বে ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। আর বিভিন্ন ধরনের কাজ করা শালের দাম ১ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। অনেকের খদ্দরের শাল পছন্দ বলে বেশি শীতের জন্য খদ্দরের ভারী শালও আছে। হালকা, মাঝারি আর ভারী এ তিন ধরনের শালই এসব বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
আমারসংবাদ/এডি