Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

শেখ হাসিনায় মুগ্ধ বিশ্ব

আবদুর রহিম

মার্চ ২৮, ২০২১, ০৭:৪৫ পিএম


শেখ হাসিনায় মুগ্ধ বিশ্ব
  • বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে সরাসরি ফ্লাইট এবং জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে
  • বাংলাদেশে পড়াশোনা করা ভুটানের শিক্ষার্থীরা এককালীন ফুলটার্ম ভিসা পাবে
  • সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশের কাছে নেপালের আবদার নৌ ও আকাশপথ
  • সফলভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা শ্রীলঙ্কার
  • করোনার ঝুঁকি মোকাবিলা করতে ভারত বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
  • শুভেচ্ছা বার্তায় গুতেরেস, বাইডেন, পুতিন, শি জিনপিংসহ বিশ্ব নেতাদের বাংলাদেশের প্রশংসা

একজন শেখ হাসিনায় মুগ্ধ বিশ্ব! বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে করোনার দুঃসময়েও একজন নেত্রীর আস্থায় বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের শীর্ষ ব্যক্তিরা। এ ছাড়া জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, জাপান, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, পাকিস্তান, তুরস্ক, জার্মানি, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন।

বাংলাদেশে সফলভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বের  গুণগান করেছেন সবাই। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব ও অবদানের স্বীকৃতি দিয়েছেন তারা। গুরুত্বপূর্ণ অনেক সেক্টরই বাংলাদেশ বিশ্ব থেকে এগিয়ে রয়েছে। সেগুলোতে সহযোগিতা চেয়েছেন অনেকে। বাংলাদেশও বিভিন্ন দেশের কাছে কিছু বিষয় আবদার করেছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অনেক বিষয়ে ঐকমত্যে আসা হয়েছে। বিশেষ করে করোনার ঝুঁকি মোকাবিলা করতে ভারত-বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, স্বাস্থ্য খাতের নতুন চ্যালেঞ্জ চলমান মহামারি করোনার ঝুঁকি দুই দেশ একসাথে মোকাবিলা করবে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় উৎসবও দুই দেশ একসাথে উদযাপন করবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে সরাসরি ফ্লাইট এবং জাহাজ চলাচল শুরু হবে বলে সমঝোতা হয়েছে। বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ উভয় দেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তিতে (পিটিএ) স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছে। বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্য সমপ্রসারণে দুই দেশের মধ্যকার সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে একমত হয়েছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে পড়াশোনা করা ভুটানের শিক্ষার্থীরা এককালীন ফুলটার্ম ভিসা পাবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশের কাছে নেপালের আবদার নৌ ও আকাশপথ। সফরকালে নৌ ও আকাশপথে কানেক্টিভিটি বাড়াতে নেপাল আগ্রহ প্রকাশ করলে বাংলাদেশ তাতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে। সফলভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে গেছে শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে সরাসরি ফ্লাইট এবং জাহাজ চলাচল শুরু হবে : বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ উভয় দেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তিতে (পিটিএ) স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পিটিএ চুক্তিতে স্বাক্ষরের বিষয়ে দুই নেতা ঐকমত্যে পৌঁছেন। মালদ্বীপে অবস্থানরত অবৈধ বাংলাদেশিদের বৈধ করতে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। এ ছাড়া দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকে মৎস্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালদ্বীপের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। জবাবে বাংলাদেশকে মালদ্বীপের সম্ভাবনাময় বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে আখ্যায়িত করে দেশটির প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘শিগগিরই দুই দেশের মধ্যে পিটিএ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে’। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে আইসিজে’তে (ইন্টারন্যাশনাল কোর্টস জাস্টিস) রোহিঙ্গাদের অধিকার যাতে নিশ্চিত হয় সে ব্যাপারে একসাথে কাজ করতে চায়।’

বাংলাদেশ থেকে শীঘ্রই মালদ্বীপের মালেতে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট এবং জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুুল মোমেন। দু’দেশের সরকারপ্রধানের নেতৃত্বে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বিকেলে মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ শহিদের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন, শীঘ্রই বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে যাবে বাংলাদেশ বিমান। আরেকটি সুখবর হচ্ছে— শীঘ্রই চট্টগ্রাম ও মালের মধ্যে আমরা একটা শিপিং লাইন চালু করবো।’ তিনি বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে প্রিফারেনশিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (পিটিএ) সই করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ, মালদ্বীপ তাতে সম্মত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এখনো খুব বেশি আমরা অগ্রসর হইনি। এ জন্য আমরা ওদের কাছে একটা প্রস্তাব দিয়েছি যে, আমরা পিটিএ করতে চাই, যেটা ভুটানের সঙ্গে আমরা করলাম কিছুদিন আগে।’ এ সময় মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ শহিদ বলেন, আমরা সমন্বিত যৌথ কমিশন করতে যাচ্ছি, যাতে দৃঢ় আইনি ভিত্তি ও কাঠামোর ওপর ভর করে আমরা সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারি। এর মাধ্যমে নিয়মিত সব ইস্যুকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা সমাধান করতে পারবো।

বাংলাদেশে পড়াশোনা করা ভুটানের শিক্ষার্থীদের এককালীন ফুলটার্ম ভিসা অনুরোধ ভুটানের : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে ঢাকায় আসা ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্য সমপ্রসারণে দুই দেশের মধ্যকার সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে একমত হয়েছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে স্বাক্ষরিত অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে আরও বেশি নৌবন্দর নির্মাণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। বৈঠকে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য, কানেকটিভিটিসহ দুই দেশের মধ্যকার বিভিন্ন সেক্টরে সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহযোগিতামূলক জলবিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণে দ্বিপাক্ষিক অথবা ত্রিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক তৈরির কথা বলেন। এ সময় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বাংলাদেশে পড়াশোনা করা ভুটানের শিক্ষার্থীদের এককালীন ফুলটার্ম ভিসা বা মাল্টিপল এন্ট্রি সুবিধা দেয়ার অনুরোধ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত এবং সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটসহ তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে ভুটানকে সহযোগিতা করতে পারে বাংলাদেশ। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে বাংলাদেশ ও ভুটান একসঙ্গে কাজ করার বিষয়েও একমত হন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার্থে জাহাজগুলো যাতে সহজে নোঙ্গর করতে পারে সে জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশের কাছে নেপালের আবদার নৌ ও আকাশ পথ : বাংলাদেশে দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফর আসেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি। সফরকালে নৌ ও আকাশপথে কানেকটিভিটি বাড়াতে নেপাল আগ্রহ প্রকাশ করলে বাংলাদেশ তাতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারির বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিমান ও নৌ-রুট ব্যবহারের আগ্রহ প্রকাশ করেছে নেপাল। বিশেষ করে সৈয়দপুর, সিলেট, চট্টগ্রামের বিমানবন্দর ব্যবহারে তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে নৌ-রুট ব্যবহারেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা নীতিগতভাবে সম্মতি দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশকে আমরা সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গেটওয়ে তথা মাল্টিমোডাল কানেকটিভ হাবে রূপান্তর করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘নেপালের প্রেসিডেন্টের এই সফর আবহমান সাংস্কৃতিক ও ভৌগোলিক নৈকট্যের ভিত্তির ওপর রচিত বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও বেগবান ও জোরদার করবে। সফরকালে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে চারটি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা সই হয়েছে। নেপাল বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ সরবরাহে আগ্রহী। এছাড়া বিভিআইএন উদ্যোগে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথমে কানেকটিভিটিতে যুক্ত হবে। পরে ধীরে ধীরে ভুটান যুক্ত হবে। নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) দ্রুতই সই হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উভয় নেতা (বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও নেপালের প্রেসিডেন্ট) দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সমপ্রসারণের বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বহুলাংশে বাড়বে। আমরা আশা করছি, চুক্তিটি দ্রুত সই হবে।’

বাংলাদেশে সফলভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা শ্রীলঙ্কার : বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা শীর্ষ বৈঠকে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। বাণিজ্যের নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনে একমত প্রকাশের পাশাপাশি যুব উন্নয়ন, কৃষি, কারিগরি শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে ছয়টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তবাণিজ্য চুক্তিতে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘মুক্তবাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে যৌথ ফিজিবিলিটি স্টাডি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের এখন দ্রুত মুক্তবাণিজ্য চুক্তিতে (এফটিএ) যাওয়া উচিত।’ অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য সেক্টর বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপের পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্লু-ইকোনমি ধারণার প্রশংসা করে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেসরকারি সেক্টরের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার বাজারে বাংলাদেশের অনেক পণ্যের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।’ বাংলাদেশে বিনিয়োগে শ্রীলঙ্কার উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের পাওয়ার সেক্টরে বিনিয়োগ করছে। আমরা শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এবং হাইটেক পার্কগুলোতে আরও বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাই। দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে ছয়টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।’ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আরও জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সম্ভাবনার চেয়ে অনেক কম দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হয়। আমাদের এখন দ্রুত মুক্তবাণিজ্য চুক্তিতে যাওয়া উচিত। ধানচাষ, মিঠা পানির মাছচাষসহ কৃষি ক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি উপকূল, এ্যাকোয়াকালচার, গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ বিষয়ে শ্রীলঙ্কা থেকে প্রযুক্তি জ্ঞানার্জনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সক্ষমতা অর্জন, কারিগরি প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য শিক্ষা ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে বিশ্বমানের ওষুধ আমদানি করে শ্রীলঙ্কা লাভবান হতে পারে।’ জরুরি রেসপন্স, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু অভিযোজন এবং প্রশমন বিষয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বিনিময় করার আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। 

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে দুই দেশের বিদ্যমান সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আগামী বছর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শ্রীলঙ্কা সফরের আমন্ত্রণ জানান রাজপাকসে। বাংলাদেশের ডিজিটাল দেশে রূপান্তরের প্রশংসা করেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী। পারস্পরিক লাভের জন্য কৃষি, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য সেক্টর বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে। বাংলাদেশের ব্লু-ইকোনমি ধারণার প্রশংসা করেন এবং এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা থেকে অভিজ্ঞতা অর্জনের আগ্রহ প্রকাশের পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।

ছয় দফা সমঝোতা স্মারক সই : দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে যুব উন্নয়ন, কৃষি, কারিগরি শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে ছয়টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে। সমঝোতা স্মারকগুলো হচ্ছে— বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে যুব উন্নয়ন জোরদারে সহযোগিতা, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা পরিষদ (বিএআরসি) এবং শ্রীলঙ্কার কাউন্সিল ফর এগ্রিকালচারাল রিসার্চ পলিসির (এসএলসিএআরপি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং শ্রীলঙ্কার টার্শিয়ারি অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন কমিশনের (টিভিইসি) মধ্যে কারিগরি দক্ষতা বিনিময়ে সমঝোতা স্মারক। অন্যান্য সমঝোতা স্মারক হচ্ছে— শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণে সহায়তা, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ এবং লক্ষণ কাদিরগামার ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের মধ্যে সহযোগিতা এবং ২০২১-২০২৫ সাল মেয়াদে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সাংস্কৃতিক কর্মসূচি বিনিময় সমঝোতা চুক্তি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।

চলমান মহামারি কোভিড-১৯ এর ঝুঁকি মোকাবেলা করতে ভারত বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : বাংলাদেশ ও ভারত সামনের দিনগুলোতে একসঙ্গে চলার অঙ্গীকার করেছে। দুই দেশ একে অন্যকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে যেকোনো চ্যালেঞ্জ দুই দেশ ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করারও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সোনালি অধ্যায়ের সূচনা করবে। দুই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভারত বাংলাদেশ যৌথ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, স্বাস্থ্য খাতের নতুন চ্যালেঞ্জ চলমান মহামারি কোভিড-১৯ এর ঝুঁকি দুই দেশ একসাথে মোকাবেলা করবে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় উৎসবও দুই দেশ একসঙ্গে উদযাপন করবে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় বীরদের আত্মত্যাগকে স্মরণীয় করে রাখতে আশুগঞ্জে মেমোরিয়াল স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। উভয় প্রধানমন্ত্রী এই স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সীমান্তে অনাকাঙ্ক্ষিত ‘ঘটনা’ বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে নির্যাতনের মুখে জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তনে ভারতকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মাঠ পর্যায়ে (গ্রাউন্ড লেভেল) সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অন্যদিকে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত শরণার্থীদের টেকসই প্রত্যাবর্তন চায়।’

বাংলাদেশের প্রশংসায় বিশ্ব নেতারা : স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই শুভেচ্ছা জানান তারা। এ উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, জাপানের প্রেসিডেন্ট ইউশিহিদে সুগা, সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ, যুক্তরাজ্যের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, যুবরাজ প্রিন্স চার্লস, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমরান খান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়ের এরদোগান, জার্মানির প্রেসিডেন্ট, স্পেনের রাজা, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যান্টনি ব্লিংকেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস  বলেছেন, ‘বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ বড় ভূমিকা রাখছে।  বাংলাদেশের মানুষ বিগত পাঁচ দশকে সামাজিক অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। তাদের এ উন্নতির জন্য আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। আরও অভিনন্দন জানাতে চাই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায়।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ বড় ভূমিকা রাখছে। জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি সদস্য বাংলাদেশের। বাংলাদেশ লাখো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ।’ অভিনন্দন বার্তা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্ব মানবতার এক উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশ এখন পরিচিত।’ শুক্রবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানাতে এসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন। বাইডেন আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ইস্যু নিয়ে তার প্রশাসন বাংলাদেশকে সবরকম সাহায্য করবে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পাঠানো এক বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন অসাধারণ নেতা ছিলেন। পুতিন বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের সময়ে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীও পালন করছে।’ বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের গঠনমূলক সহযোগিতা আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে।’

বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক উন্নয়নশীল দেশ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বরিস জনসন বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে অর্থনৈতিক উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। আমরা বাংলাদেশের সমৃদ্ধির স্বপ্নের সঙ্গে থাকতে চাই। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে (যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) এসেছিলেন। যা আমাদের দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সূচনা ছিলো। গত ৫০ বছরে এ বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে। বরিস জনসন বলেন, যুক্তরাজ্যে ছয় লাখের বেশি বাংলাদেশি রয়েছে। তারা যুক্তরাজ্যের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি যা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এ জন্য আমার পক্ষে এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। তবে যদি পরিস্থিতি ভালো হয়, বাংলাদেশ সফরের ইচ্ছা আমার আছে।’ তিনি বলেন, ‘দুই দেশের জনগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্বমূলক অনুভূতি আমাদের সম্পর্ককে আরও উন্নত করার জন্য ইচ্ছাশক্তিকে দৃঢ় করবে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আপনার পিতা, বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান জাতির জন্য সংগ্রাম ও ত্যাগের মাধ্যমে বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত রাষ্ট্রনায়কদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে আমাদের সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও গভীর হবে।’

আমারসংবাদ/জেআই