Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ২৬, ২০২১, ০৪:২০ এএম


সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

সরকারি চাকরিজীবীদের নিয়মিত সম্পদের হিসাব দেয়ার নিয়ম বাস্তবায়নে তাগিদ দিয়ে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের চিঠি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী, পাঁচ বছর পরপর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির অনুমতি নেয়ার কথা। তবে সরকারি চাকুরেরা বিধিমালাটি সেভাবে পরিপালন করেন না। 

সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিধিমালাটি কার্যকরের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সব সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব দেয়ার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাঁচ বছর পর পর সম্পদের বিবরণী দাখিলের নিয়ম আছে। কিন্তু এটি সেভাবে অনুসরণ করা হয়নি। এ-সংক্রান্ত বিধানটি যেন মানা হয় সে বিষয়ে তাগিদ দিয়ে সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। এটি নিশ্চিত হলে দুর্নীতি কমবে, সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। 

জানা গেছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-৪ শাখা থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাফিসা আরেফীনের সই করা চিঠিতে বলা হয়, ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর বিধি ১১, ১২ ও ১৩-তে সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর সম্পত্তি অর্জন, বিক্রয় ও সম্পদ বিবরণী দাখিলের বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সুশাসন নিশ্চিতে উল্লিখিত বিধিগুলো কার্যকরভাবে কর্মকর্তাদের অনুসরণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে জোর নির্দেশনা দিয়েছেন।’

এ পরিস্থিতিতে চিঠিতে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর আওতাভুক্তদের তাদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা দপ্তর বা অধীন সংস্থায় কর্মরত সব সরকারি কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী দাখিল, ওই সম্পদ বিবরণীর ডাটাবেজ তৈরি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে স্থাবর সম্পত্তি অর্জন ও বিক্রয়ের অনুমতি গ্রহণের বিষয়ে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর ১১, ১২ ও ১৩ বিধি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রতিপালনের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে জানানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

‘চিঠির সঙ্গে সরকারি কর্মচারীর জমি বা বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা সম্পত্তি ক্রয় বা অর্জন ও বিক্রির অনুমতির জন্য আবেদনপত্রের নমুনা ফরম এবং বিদ্যমান সম্পদ বিবরণী দাখিলের ছকও পাঠানো হয়েছে।’

২০১৯ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেয়া হয়েছিল। এর আগে গত ৪ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সরকারি চাকরিরত এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যরা অনুমোদন না নিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা না করে সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে একটি চিঠি পাঠায়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে চিঠি পাঠিয়েছিল।

সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে এরই মধ্যে বেশকিছু মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত সব কর্মচারীকে কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি বা ব্যবসায় জড়িত না হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়।

আমারসংবাদ/এআই