Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

ইয়েমেনের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ

জানুয়ারি ২৩, ২০১৫, ০৫:৫৯ এএম


ইয়েমেনের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ


ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদ-রাব্বু মানসুর হাদি পদত্যাগ করেছেন। দেশটির শক্তিশালী শিয়া গোষ্ঠী হাউতি বিদ্রোহীরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে হামলা চালানোর একদিন পর বৃহস্পতিবার তিনি পদত্যাগ করলেন। হাদির পদত্যাগের ফলে দেশটিতে গভীর রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।

আন্তর্জাতিস সন্ত্রাসী সংগঠন আল কায়েদার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ইয়েমেনের এই রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় হতাশ যুক্তরাষ্ট্র।

সাবেক জেনারেল হাদি হাউতি বিদ্রোগীদের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, রাজধানী সানা বিদ্রোহীরা দখলে নেয়ায় ইয়েমেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার দুই বছরের প্রচেষ্টা কোন ফল পায়নি।

আরব উপদ্বীপের আড়াই কোটি জনসংখ্যার এই দেশটির হাউতি বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে ইরান।

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে রাজধানী সানার নিয়ন্ত্রণ নেয় এই শিয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী। আর এরপর থেকেই প্রেসিডেন্ট হাদির কাছে নানা দাবি আর শর্ত জানাতে থাকে হাউতি গোষ্ঠী।

একটি হোটেলের নিরাপত্তার তদারকের দায়িত্ব পালনকারী আহমেদ আল-ফাতেস বলেন, “এটি একটি অভ্যুত্থান।”

হাদিকে ভয় দেখিয়ে সরিয়ে দেয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, “হাউতিরা জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে। হাদিই বৈধ প্রেসিডেন্ট এবং ৬০ লাখ ইয়েমেনি তাকে নির্বাচন করেছে। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা আনার চেষ্টা করেছেন।”

হাদির এই পদত্যাগ সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোন প্রতিক্রিয়া নেই বলে জানিয়েছে হাউতি গোষ্ঠী। তবে শুক্রবার বিকালে গণজমায়েতের মাধ্যমে তাদের প্রতি সমর্থন দেয়ার জন্য ইয়েমেনবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হাউতি বিদ্রোহীরা।

এরআগে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় হাউতি বিদ্রোহীরা প্রেসিডেন্ট হাদির ব্যক্তিগত বাসভবনের বাইরে অবস্থান নেয় এবং সেখান থেকে প্রেসিডেন্টশিয়াল গার্ডদের সরিয়ে দিয়ে তাদের বাহিনীকে সেখানে নিয়োগ করে।

মঙ্গলবার হাউথিরা বাড়িটি লক্ষ করে গোলা ছোঁড়ে এবং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ প্রাঙ্গণের নিয়ন্ত্রন নেয়। বিদ্রোহীদের নেতা আব্দুল মালিক আল-হাউথির অভিযোগ প্রেসিডেন্ট এবং অন্যান্য নেতারা জনগণের মতকে গুরুত্ব দেয়নি। যার ফলে দেশে এই সংকটজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছিল, পরবর্তী নোটিশ না পাওয়া পর্যন্ত দেশটির স্থল, জল ও আকাশসীমা অবরুদ্ধ থাকবে। বিদ্রোহীরা দেশটির সবেচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি দখল করে নেয় যা সানার একটি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। গোষ্ঠীটি সানার বেশিরভাগ গণমাধ্যমের কার্যালয় দখল করে নিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রেসিডেন্ট তার ব্যক্তিগত বাসভবনে অবস্থান করছেন এবং তিনি চাইলে চলে যেতে পারেন। হাউথিরা প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা ভাগাভাগি করার প্রস্তাব দিয়েছিল বলেও জানায় বিদ্রোহীরা।

এই পরিস্থিতিতেও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হাদিকে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি, পদত্যাগ করেন তিনি।