Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

গিলগিট-বালতিস্তানকে অস্থায়ী প্রদেশের মর্যাদা পাকিস্তানের, ভারতের বিরোধিতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নভেম্বর ২, ২০২০, ০৮:৫১ এএম


গিলগিট-বালতিস্তানকে অস্থায়ী প্রদেশের মর্যাদা পাকিস্তানের, ভারতের বিরোধিতা

পাকিস্তানের ইমরান খান সরকার গিলগিট-বালতিস্তানকে অস্থায়ী প্রদেশের মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত। গিলগিট-বালতিস্তান ভারতের ভূখণ্ড, যা পাকিস্তান জোর করে দখল করে রেখেছে বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। রোববার (১ নভেম্বর) বিকেলে গিলগিট-বালতিস্তানকে অস্থায়ী প্রদেশের মর্যাদা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

এরপরেই এদিন সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, পাকিস্তান সরকার বেআইনিভাবে, জোর করে দখলে রাখা ভারতীয় ভূখণ্ডের একাংশের চরিত্রগত পরিবর্তনের যে চেষ্টা চালাচ্ছে, ভারত তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।

অনুরাগ শ্রীবাস্তব আরো বলেন, ১৯৪৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী, গিলগিট-বালতিস্তান ভারতের কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জোর করে দখল করে রাখা ওই অঞ্চলের কোনো কিছু পরিবর্তন করার অধিকার নেই পাকিস্তানের। এ ধরনের কাজ আসলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমান। পাশাপাশি পাকিস্তানের ওই সিদ্ধান্তে এটা প্রমাণ হয় যে, কীভাবে দিনের পর দিন তারা একটি অঞ্চলের মানুষদের স্বাধীনতা খর্ব করে চলেছে। ভারতের যে জায়গাগুলো পাকিস্তান দখল করে রেখেছে, সেগুলোকে নিজেদের অধীনে নেওয়ার পরিকল্পনা থেকে ইসলামাবাদের উচিত অবিলম্বে সেখান থেকে সরে যাওয়া।

চলতি বছরে গত সেপ্টেম্বরে গিলগিট-বালতিস্তানে প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচন ঘোষণা করেছিল ইসলামাবাদ। সেসময়েও ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইমরান খান সরকারের ওই উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছিল।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছিলেন, পাকিস্তান সরকারের ওই পদক্ষেপের কোনো আইনি বৈধতা নেই। ওই প্রক্রিয়ার গোড়াতেই ত্রুটি রয়েছে। কারণ, গিলগিট-বালতিস্তান পাক সেনার দ্বারা অবৈধভাবে, জোর করে দখল করা ভূখণ্ড।

তিনি আরো বলেন, গিলগিট-বালতিস্তানে নির্বাচন ঘোষণা করে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে পাকিস্তান।

চলতি বছরের প্রথমদিকে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট সেখানে প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচন করানোর জন্য পাকিস্তান সরকারকে ২০১৮ সালের প্রশাসনিক আইন সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরে ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার পাকিস্তানকে ‘কূটনৈতিক প্রতিবাদপত্র’ (ডিমার্শ) পাঠায়। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই সেখানে নির্বাচনের সিদ্ধান্তে অটল থাকে ইসলামাবাদ। আগামী ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়। গত ১৮ অগস্ট প্রাদেশিক আইনসভার ২৪টি আসনে নির্বাচনের দিন স্থির হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।

আমারসংবাদ/জেআই