Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪,

জুয়া খেলতে বাঁধা দেয়ায় মা-বোনকে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নভেম্বর ৩০, ২০২০, ০২:১০ পিএম


জুয়া খেলতে বাঁধা দেয়ায় মা-বোনকে হত্যা

খেলা নিয়ে জুয়া না ধরতে পারলে নেশাখোরদের চেয়েও বেশি খারাপ অবস্থা হয়ে যায় পাল্লি সৈনত রেড্ডি। এমন এক ঘটনায় ভারতে নিজের মায়ের ব্যাংকে জমানো টাকা সব তুলে জুয়ায় সব উড়িয়ে দেন। এরপর নগদ টাকা না পেয়ে পরিবারের সম্পত্তি বিক্রি করা শুরু করতে গেলে বাঁধা দেয় তার মা-বোন। এতে ২৩ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থী ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে তার মা-বোনকে হত্যা করে। ভয়ঙ্কর এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের হায়দরাবাদে।

ওই এলাকার থানা পুলিশ সূত্রে মুম্বই মিরর জানিয়েছে, সৈনত মা ও বোনের খাবারে কীটনাশক মিশিয়ে দেন। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর মা-বোনকে হাসপাতালে নেন সৈনত।

হত্যাকারী ২৩ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থী পড়তেন এমটেক নিয়ে। দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন তিনি। বাবা প্রভাকর রেড্ডি মারা গেছেন তিন বছর আগে। মা সুনিতা (৪৪) একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। বোন অনুজা (২২) ফার্মাসিতে পড়তেন। প্রভাকরের মৃত্যুর পর জীবনবীমা থেকে পাওয়া ও কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে পাওয়া অর্থ ব্যাংকে জমা রেখেছিলেন সুনিতা। মাকে না জানিয়েই ২০ লাখ টাকা তুলে বাজি ধরেন সৈনত। হেরে সব টাকা খোয়ান তিনি। বাজির অঙ্কটা ছিল আরো বড়। সেজন্য বিক্রি করে দেন মায়ের ১৫ ভরি গয়না।

আরো পড়ুন: ম্যারাডোনার মৃত্যুতে বাবু খাবেনা ৭ দিন

সুনিতা ও অনুজা সবকিছু জানতে পারেন। ছেলেকে সবকিছু ছাড়ার নির্দেশ দেন সুনিতা। পরিবারের সব সম্পত্তি বাজিতে খাটানোর জন্য পরিকল্পনা করেন সৈনত। সেজন্য মা ও বোনের খাবারে মিশিয়ে দেন বিষ। ২৩শে নভেম্বর রাতের খাবার নিয়ে খন্ডকালীন চাকরি করা সৈনত অফিসে চলে যান। খাবার খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন মা ও বোন।

আরো পড়ুন: ২৩ পৌরসভায় বিএনপির মেয়র পদে মনোনয়ন পেলেন যারা

সেদিনের রাতের খাবারে ছিল বিষ মেশানো। ফোন অফ করে রাখায় বারবার ফোন করেও ছেলেকে পাননি সুনিতা। সকাল ৯টায় ফোন ওপেন করে মায়ের মেসেজ দেখেন সৈনত। এরপর বাড়িতে ফোন করলে বোন অনুজা জানান, ‘তারা গুরুতর অসুস্থ’। বাড়িতে ফেরার পরও মা ও বোনকে হাসপাতালে নেননি সৈনত। তারা অজ্ঞান হওয়ার পরই নিয়ে যান হাসপাতালে। ২৭শে নভেম্বর মারা যান অনুজা। তার মা মারা যান পরের দিন।

আরো পড়ুন: হিন্দু সেজে পুণ্যস্নানে গিয়ে ধরা ৫ মুসলিম যুবক

আত্মীয়-স্বজনরা সন্দেহ করেন সৈনতকে। প্রশ্নের মুখে সব স্বীকার করেন। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন সৈনত।

আরো পড়ুন:-

ডিআরইউর নতুন সভাপতি নোমানী, সম্পাদক মসিউর

মাধ্যমিকে ইসলাম শিক্ষা বাদ দেওয়ার খবর গুজব: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন: শিক্ষকদের নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

সেনাবাহিনী ও পুলিশে চাকরির সুযোগ

যাবজ্জীবন সাজা কত বছর

আমারসংবাদ/এমআর