আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জানুয়ারি ৬, ২০২১, ০২:১৫ পিএম
বেকারত্বের কারণে সংসারে আর্থিক অনটন স্পষ্ট। সে কারণে উঠতে বসতে কথা শোনাতেন স্ত্রী। নিত্যদিনের এই অশান্তি থেকে মুক্তি পেতেই নিজের মৃত্যুর নাটক করে ভারতের উত্তরপ্রদেশে পালিয়ে গেলেন বিহারের এক ব্যক্তি। যদিও শেষরক্ষা হয়নি তার, সত্যিটা সামনে আনে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম প্রদীপ কুমার রাম। দীর্ঘদিন ধরেই বেকার তিনি। এদিকে, ৩৩ বছর বয়সী স্ত্রী প্রতিভা কুমারী সংসারের একমাত্র রোজগেরে। একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা তিনি। কিন্তু স্বামী কোনও কাজ না করায়, সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল। আচমকাই ২৯ ডিসেম্বর রাত থেকে নিখোঁজ হন প্রদীপ। সকালে উঠে স্বামী যেখানে ঘুমিয়ে ছিলেন, সেখানে রক্ত পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিভা। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগে জানান, অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা তার স্বামীকে খুন করে লাশ গায়েব করে দিয়েছে।
ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় তন্নতন্ন করে খুঁজেও প্রদীপের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর মধ্যেই বাড়ির অদূরে একটি বোতল পাওয়া যায়। তাতে তখনও রক্ত লেগে ছিল। সন্দেহ হয় পুলিশের। যে জায়গাটিতে রক্ত লেগেছিল, সেটি দেখে সন্দেহ আরও জোরালো হয়। জোরদার তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে উত্তরপ্রদেশের জামানিয়া থেকে শেষপর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেরায় শেষপর্যন্ত সত্যিটা জানান প্রদীপ।
বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংসারে অশান্তি করতেন স্ত্রী। তাই বাজারে মাংসের দোকান থেকে ৪০ টাকা দিয়ে এক বোতল ছাগলের রক্ত কিনে আনেন। আর তাই দিয়ে নিজের মৃত্যুর গল্প ফেঁদে বাড়ি থেকে পালান। শেষপর্যন্ত মুচলেকা দিয়ে রেহাই পান প্রদীপ।
আমারসংবাদ/জেআই