আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জানুয়ারি ২৮, ২০২১, ০৪:২০ এএম
সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ। এই অদৃশ্য ভাইরাসটি কেড়ে নিচ্ছে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৯১টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়াল্ডওমিটারসের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০ কোটি ১৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮১ জন। মারা গেছেন ২১ লাখ ৮৪ হাজার ২১৬ জন। বুধবার মারা গেছেন ২১ লাখ ৬৭ হাজার ৯২ জন। এর ফলে একদিন ১৭ হাজার ১২৪ জনের মৃত্যু। বৃহস্পতিবার সুস্থ হয়েছেন ৭ কোটি ৩৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৯২ জন।
প্রাণঘাতী ভাইরাসটির থাবায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ২ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ২০১ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫১৭ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৭ লাখ ২ হাজার ৩১ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৮৫ জন।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯০ লাখ ৪৮৫ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২ লাখ ২০ হাজার ২৩৭ জন।
তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। যুক্তরাজ্য পঞ্চম। ফ্রান্স ষষ্ঠ। স্পেন সপ্তম। ইতালি অষ্টম। তুরস্ক নবম। জার্মানি দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩০তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।
২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে অদৃশ্য ভাইরাসটি। এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনার টিকা প্রদান শুরু করেছে। বাংলাদেশেও করোনার টিকাদান শুরু হয়েছে।
আমারসংবাদ/এআই