ঢাকা
শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জানুয়ারি ৩০, ২০২১, ০৮:২৫ এএম
বাংলাদেশের ক্রমাগত রফতানি বৃদ্ধি থেকে ভারত শিক্ষা নিতে পারে বলে নিজেদের বার্ষিক নথিতে উল্লেখ করেছে ভারতীয় অর্থ মন্ত্রণালয়। ওই নথিতে বাংলাদেশ-ভারতের রফতানি খাতের বিভিন্ন পরিসংখ্যানগত তুলনা উল্লেখ করা হয়। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক নথি ‘ইকোনমিক সার্ভে’তে বলা হয়েছে, ‘যেভাবে রফতানি বাড়ছে তাতে বাংলাদেশ শিগ্ররই একটি প্রভাবশালী রফতানিকারক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে মনে হচ্ছে।’
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সমন্বিত বার্ষিক প্রবৃদ্ধি (সিএজিআর) হয়েছে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ, যেখানে ভারতের ছিলো মাত্র ০.৯ শতাংশ। যেখানে ২০১১ সালে বৈশ্বিক রফতানিতে বাংলাদেশের অবদান ছিল মাত্র ০.১ শতাংশ, ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.৩ শতাংশে।
রফতানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভারতের সঙ্গে ধীরে ধীরে বাণিজ্য ঘাটতিও কমিয়ে আনছে বাংলাদেশ। ২০১৮-১৯ সালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল প্রায় ১ হাজার ২৫ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু ২০১৯-২০ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯৪৬ কোটি ডলারে।
এসব তথ্য উল্লেখ করে প্রতিযোগিতামূলক পণ্যগুলোতে বিশেষত্ব তৈরিতে বাংলাদেশকে দেখে ভারত শিক্ষা নিতে পারে বলে মন্তব্য করেছে ভারতীয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
তবে ভারতীয় বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের বেশ কিছু বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পায়, যা দেশটির রফতানি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। উদীয়মান ভারত বা অন্য উন্নত দেশগুলো এধরনের সুবিধা পায় না।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এখন অনেক দেশের কাছেই রোল মডেল। অর্ধশত বছর আগে যাদের কাছ থেকে স্বাধীনতা আদায় করেছিলো সেই পাকিস্তানই এদেশের উন্নয়নে অভিভূত। পাকিস্তানি মন্ত্রী, অর্থনীতিবিদ এমনকি প্রধানমন্ত্রীর মুখেও প্রতিনিয়ত শোনা যায় বাংলাদেশের উন্নয়নের গুণগান। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়।
আমারসংবাদ/এমএ
