Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

খাশোগি হত্যায় বিন সালমানের হাত থাকার খবর ফাঁস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১, ০৫:৪৫ এএম


খাশোগি হত্যায় বিন সালমানের হাত থাকার খবর ফাঁস

অবশেষে জামাল খাশোগি হত্যায় সৌদি যুবরাজ বিন সালমানের হাত থাকার খবর ফাঁস করলো যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক খাশোগিকে বিন সালমানের নির্দেশেই হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় আমেরিকা। 

সৌদির বন্ধুপ্রতিম মার্কিন সরকারই এই মর্মে বেশ কিছু গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা আরো বলেছেন, তারা এ বিষয়ে বিন সালমানের সঙ্গে আলাপ করবেন না।

সৌদি আরবের অভ্যন্তরে এখন বিন সালমানের রাজনৈতিক অবস্থান একেবারে নড়বড়ে। সৌদি প্রিন্সের শক্তির মূল খুঁটি ছিল ট্রাম্প। ট্রাম্পের পরাজয়ে তাই বিন সালমানও তার শক্তিশালী পৃষ্ঠপোষককে হারালো। এখন আমেরিকার খাশোগি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত রিপোর্ট প্রকাশের মধ্য দিয়ে বিন সালমানের নিষ্ঠুরতার চিত্র আবারও ফুটে উঠেছে। এর ফলে বিন সালমানের বাদশাহীর আসনটি দূরে সরে গেল কিনা, কে জানে! এমনিতেই সৌদি আরবের অভ্যন্তরে বিন সালমানের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ বেড়ে গেছে।

দ্বিতীয় বিষয়টি হলো জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিন সালমান এবং তার সম্পদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাব্যতা। আমেরিকা যদিও এ কাজ করবে না তবু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার বিরুদ্ধে শক্ত জনমত গড়ে উঠবে।

তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো: বিন সালমানের বাদশাহ হবার স্বপ্নভঙ্গের আশঙ্কা বৃদ্ধি পাওয়া। তার এখন প্রতিদ্বন্দ্বী বেড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। বিন সালমান তার পূর্ববর্তী প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন নায়েফের ওপর প্রচণ্ড সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছিল। এখন আমেরিকা বিন নায়েফের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এরইমধ্যে বিন নায়েফের মুক্তির দাবী উঠেছে। সৌদি সরকারের ওপর ওয়াশিংটনের এই চাপ একটু অপ্রচলিত মনে হলেও বাস্তব। কেননা বিন নায়েফ মার্কিনীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে ব্যাপক সাহায্য করেছিলেন। বিষয়টিকে আমেরিকা বিশেষ দৃষ্টিতে দেখছে।

সবশেষে যে বিষয়টি লক্ষণীয় তা হলো: জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডে বিন সালমানের হাত থাকার এই রিপোর্ট প্রকাশের ঘটনার প্রভাবকে যদি উপেক্ষা করা হয়, মানে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা না করা হয় তাহলে সেটা হবে বিন সালমানের রাজনৈতিক অপরিপক্কতার আরেকটি প্রমাণ। সৌদি প্রিন্স তার বাদশাহীর সিংহাসনে বসার স্বপ্ন পূরণ করতে চাইলে অবশ্যই আমেরিকার সরকারের সহায়তা পেতে হবে। সেটা করতে হলে এবার আর পেট্রো ডলার মুহাম্মাদ বিন সালমানের মুক্তির উপায় নাও হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারনা।

খবর: পার্সটুডে

আমারসংবাদ/এমএ