Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

৫৩ ক্রু নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সাবমেরিন নিখোঁজ

নিজস্ব প্রতিনিধি

এপ্রিল ২২, ২০২১, ০৬:০৫ এএম


৫৩ ক্রু নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সাবমেরিন নিখোঁজ

৫৩ ক্রু নিয়ে ইন্দোনেশীয় নৌবাহিনীর একটি সাবমেরিন নিখোঁজ হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘কেআরআই নাঙ্গালা ৪০২’ নামের ওই সাবমেরিনটি প্রশিক্ষণমূলক মহড়ার সময় নিখোঁজ হয়। তবে সাবমেরিনটি কখন নিখোঁজ হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি ইন্দোনেশিয়া।

বুধবার দেশটির সেনাপ্রধান হাদি জাজান্তো জানান, নির্ধারিত সময়ে রিপোর্টিং কলের জবাব দেয়নি সাবমেরিনটি। এরপর থেকেই সেটির সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ধারণা করা হচ্ছে, পর্যটন দ্বীপ বালির ৬০ মাইল উত্তরের কোনো এলাকায় নিখোঁজ হয়েছে সাবমেরিনটি।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবমেরিনের সন্ধান পেতে একটি হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে জাহাজসহ সমুদ্রের ওই এলাকায় কাজ করছে বেশ কয়েকটি জাহাজ। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরের কাছেও সাহায্য চেয়েছে ইন্দোনেশিয়া। ওই দুই দেশের সাবমেরিন সন্ধানের উপযোগী সামুদ্রিক যান রয়েছে।

মহড়ায় অংশ নেয়ার আগে সবশেষ ফিটনেস পরীক্ষাতেও মানোত্তীর্ণ হয় এক হাজার ৩০০ টনের নৌযানটি। বৃহস্পতিবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ মহড়ায় অংশ নেয়ার কথা ছিল এটির।

ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেখান থেকে যাত্রা শুরু করেছিল সাবমেরিনটি, সেখানকার পানিতে ভাসমান তেল শনাক্ত করেছে একটি হেলিকপ্টার।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পানির ৬০০ থেকে ৭০০ মিটার গভীরে রয়েছে সাবমেরিনটি। কারিগরি বা বৈদ্যুতিক কোনো ত্রুটির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় হয়তো ভেসে উঠতে পারছে না সেটি।

ফ্রান্সের নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল অ্যান্তোনি ব্যুসান্ত বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, জরুরি অবস্থায় ভেসে ওঠার জন্য সাবমেরিনটিকে সমুদ্রপৃষ্ঠের ২৫০ মিটারের মধ্যে থাকতে হবে। এর বেশি গভীরে গেলে সেটি পুরোপুরি বিকল হয়ে যাওয়ার শঙ্কাই বেশি।

১৯৮১ সালে জার্মানির কাছ থেকে সাবমেরিনটি কেনে ইন্দোনেশিয়া। ১৯৮৯ সালে জার্মানিতে এবং ২০১২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় এটির আধুনিকায়ন করা হয়।

আমারসংবাদ/আরএস