Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

কে এই ইব্রাহিম রায়িসি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুন ১৯, ২০২১, ১২:২৫ পিএম


কে এই ইব্রাহিম রায়িসি

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইয়েদ ইব্রাহিম রায়িসি ভূমিধস বিজয় লাভ করেছেন। প্রাথমিক ফলাফলের ভিত্তিতে ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। ইরানের যেকোনো নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (১৯ জুন) ইরানে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ ১৯ ঘণ্টা ধরে দেশের জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করার জন্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে- দুই কোটি ৮৬ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন এবং এ পর্যন্ত শতকরা ৯০ ভাগের বেশি ভোট গণনা করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে ইরানের স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী জামাল ওর্ফ প্রাথমিকভাবে সাইয়েদ ইব্রাহিম রায়িসিকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

দেশটির রাজনীতিতে তার পরিচয় একজন কট্টরপন্থী নেতা হিসেবে। বিচারপতি থেকে দেশের প্রেসিডেন্ট হলেন তিনি। 

বিবিসির এক প্রতিবেদন বলছে, রাইসি ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান এবং তার মতাদর্শ অতি রক্ষণশীল। তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং অতীতে রাজনৈতিক বন্দীদের মৃত্যুদণ্ডের সঙ্গেও তার সম্পর্ক ছিল। তবে সুপ্রিম নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি রাষ্ট্রীয় বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন।

৬০ বছর বয়সী সাইয়েদ ইব্রাহিম রায়িসি তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে কাজ করেছেন। তাকে ২০১৯ সালে বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর দু’বছর আগে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি হাসান রুহানির কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হন।

১৯৮০ এর দশকে রাজনৈতিক বন্দীদের যেভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাতে রাইসির ভূমিকা নিয়ে বহু ইরানি এবং মানবাধিকার কর্মী এর আগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ইরান কখনো এই গণ মৃত্যুদণ্ডের কথা স্বীকার করেনি। রাইসির ভূমিকা নিয়ে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে  সে বিষয়ে তিনি কখনো কিছু বলেননি।

মনে করা হচ্ছে, রাইসির অধীনে কট্টরপন্থীরা ইসলামি অনুশাসন মেনে সরকার পরিচালনার ব্যাপারে আরো কঠোর হবেন। যার অর্থ সামাজিক কার্যক্রমের ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ, নারীদের কর্মসংস্থান ও স্বাধীনতা কমে যাওয়া এবং সংবাদমাধ্যমসহ সোশাল মিডিয়ার ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপ।

কট্টরপন্থীরা পশ্চিমাদের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করলেও রাইসি এবং সর্বোচ্চ নেতা খামেনি উভয়েই পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তিতে ফিরে যেতে আগ্রহী বলে ধারণা করা হয়।

প্রসঙ্গত, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি দেশটির সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি। আর ইরানের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা ও পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে প্রেসিডেন্টের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। 

আমারসংবাদ/জেআই