Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,

জাপানের ইন্টারনেটের গতি প্রতি সেকেন্ডে ৩২ কোটি এমবিপিএস!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুলাই ১৮, ২০২১, ০৯:২৫ এএম


জাপানের ইন্টারনেটের গতি প্রতি সেকেন্ডে ৩২ কোটি এমবিপিএস!

প্রতি সেকেন্ডে ৩১৯ টেরাবিট বা প্রায় ৩২ কোটি এমবিপিএস (মেগাবিট পার সেকেন্ড) গতিতে ডাটা স্থানান্তর করতে পেরেছেন জাপানের প্রকৌশলীরা। যা বিশ্বের সর্বোচ্চ ইন্টারনেট গতি। আগের রেকর্ড অর্জনের এক বছর পার না হতেই নতুন রেকর্ড অর্জিত হলো এ খাতে। ইন্টারনেট সংযোগের গতির আগের বিশ্বরেকর্ড ছিল সেকেন্ডে ১৭৮ টেরাবিট।

ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির (এনআইসিটি) প্রকৌশলী দল সেকেন্ডে ৩১৯ টেরাবিট গতিতে পৌঁছেছে।

তিন হাজার কিলোমিটারেরও বেশি বিস্তৃত এক ফাইবার অপটিক কেব্লে রেকর্ডটি গড়েছেন গবেষকরা এবং বিদ্যমান কেব্ল কাঠামোর সঙ্গেও এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ সংক্রান্ত আগের রেকর্ডের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ গতি দেখা গেছে নতুন রেকর্ডে।

গবেষকরা নতুন মাইলফলক অর্জনে বিদ্যমান ফাইবার অপটিক কাঠামোকে আরও উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে মিলিয়ে নিয়েছিলেন। গতানুগতিক মানের কোরের বদলে গবেষকরা এমন চারটি কোর ব্যবহার করেছিলেন, যা গ্লাস টিউবের তৈরি। ডাটা পাঠানোর জন্য ওই চার কোরকে ফাইবারে স্থাপন করে নিয়েছিলেন তারা। কাজটি করতে ‘ওয়েভলেংথ ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং’ (ডব্লিউডিএম) নামের এক কৌশল ব্যবহার করা হয়েছিল। এরপর সিগন্যালকে একাধিক ওয়েভলেংথে ভাগ করে নেওয়া হয়েছিল এবং তা ওই একই সময়ে সম্প্রচার করা হয়েছিল। বাড়তি ডাটা বহনে তৃতীয় ব্যান্ডও ব্যবহার করেছিলেন গবেষকরা।

জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির (এনআইসিটি) তথ্য অনুসারে, এর পরের ধাপে নতুন ফাইবার অপটিকের মধ্য দিয়ে সিগন্যাল নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং জাপানি গবেষকদের দলটি এ প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে তিন হাজার এক কিলোমিটার দূরত্বে ডাটা পাঠাতে পেরেছে।

সুরক্ষা আবরণের ব্যাপারটিকে আমলে নিলে চার কোর অপটিক্যাল ফাইবারের সঙ্গে গতানুগতিক এক কোর ফাইবারের ব্যাসরেখার মিল রয়েছে। ফলে অনেকটা সহজেই নতুন পদ্ধতিটি বিদ্যমান কাঠামোতে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

আমারসংবাদ/জেআই