Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

মুখোমুখি সাত কলেজের সমন্বয়ক

সেপ্টেম্বর ১, ২০২১, ১১:৪০ এএম


মুখোমুখি সাত কলেজের সমন্বয়ক

আজ (১ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে সাত কলেজের স্বশরীরে পরীক্ষা। টিকাও আবাসিক হল খোলা ছাড়া সাত কলেজের স্বশরীরে পরীক্ষা নিয়েও ছিল অস্পষ্টতা। সাত কলেজের চলমান সমস্যা ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে মুখোমুখি হয়েছেন সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আমার সংবাদের প্রতিবেদক রাব্বি হোসেন।

প্রতিবেদক: আগামী ৯ তারিখে ১৭-১৮ সেশনের মার্স্টাস ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১৭-১৮ সেশন মার্স্টাস পরীক্ষার রুটিনে গ্যাপ চায় শিক্ষার্থীরা। এই বিষয়ে আপনার কাছে আবেদন করলে কোন উদ্যোগ নেয়া হবে কিনা?

সমন্বয়ক: এমনিতেই অনেক গ্যাপ হয়ে গেছে তাছাড়া অনেক গুলো সেশনের পরীক্ষা নিতে হবে। সময় কম। মাঝখানে গ্যাপ দেয়া সম্ভব নয়। পরীক্ষা শেষ করতে হবে।

প্রতিবেদক: করোনাকালিন বিবেচনায় ৪ঘণ্টার পরীক্ষা হবে ২ঘণ্টায় কিন্তু এখনো বিভাগ থেকে প্রশ্ন ও মান বন্টনের কোন নোটিশ দিচ্ছে না। সাত কলেজ প্রশাসন থেকে বিভাগে কোন নির্দেশনা দিয়েছেন কি না?

সমন্বয়ক: প্রশ্নের প্যাটার্ন, মানবন্টণ এ বিষয়গুলোর দায়িত্ব একান্তই যার যার বিভাগের এ বিষয়ে সাত কলেজের সমন্বয়কের কোন হাত নেই। বিভাগীয় প্রশাসন এ বিষয়ের সিদ্ধান্ত নিবে এবং গুরুত্বসহকারে শিক্ষার্থীদের জানাবে।

প্রতিবেদক: যেহেতু ৪ঘণ্টার পরীক্ষা হবে ২ঘণ্টায় সেক্ষেত্রে সিলেবাস কমানো হবে কি না?

সমন্বয়ক: না সিলেবাস কমানোর কোন সুযোগ নেই। প্রশ্নে উত্তর হয়তো কম দেয়া লাগতে পারে। কিন্তু সিলেবাস আগের মতোই থাকবে।

প্রতিবেদক: অর্নাস ১৫-১৬ সেশনের বেশ কিছু বিভাগের শিক্ষার্থীদের গণহারে ফেল হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে, ফলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনও করেছে। এ বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গণহারে ফেল হওয়ার কারণ কি?

সমন্বয়ক: ফেল আর গণহারে ফেল হওয়া বিষয়টি আলাদা। যদি গণহারে ফেল নিয়ে আমাদের শিক্ষকদের এ বিষয়ে কোন গাফিলতি থাকে তাহলে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীরা যদি খাতা না লেখে কিভাবে পাশ করবে? ইচ্ছে করে ফেল করিয়ে দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। কারণ শিক্ষার্থীগুলোর দুই বছর গ্যাপ হয়ে যাবে।

প্রতিবেদক: শিক্ষার্থীরা ১৮-১৯সেশনের পরীক্ষার রুটিন চায়। তাদের বিষয়ে সাত কলেজ প্রশাসনের সিদ্ধান্ত কি?

সমন্বয়ক: যদি শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে চায় তাহলে নিজ কলেজের অধ্যক্ষকের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিজ নিজ কলেজের অধ্যক্ষরা যদি তাদের নিয়ে বলে বিবেচনা করা হবে। তবে এক সাথে এত গুলো সেশনের পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে নিতে হবে।

প্রতিবেদক: পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হতে বারবার বিলম্ব হচ্ছে এর কারণ ও সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন কি?

সমন্বয়ক: দেখুন এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের কিছু সমস্যাও আছে। যেহেতু শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক তাই একটু চাপ হয়। তাছাড়া কোন শিক্ষক যদি ইচ্ছে করে খাতা মূল্যায়ন করতে দেরি করে বা নম্বর জমা দিতে দেরি করে সেক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে যা করা উচিত আমরা করবো। তবে আমাদের কিছু কমতি আছেই। 

প্রতিবেদক: টিকা ছাড়াই স্বশরীরে পরীক্ষা হচ্ছে আপনারা কতটুকু আশাবাদী?

সমন্বয়ক: টিকা নিয়ে আমাদের অবস্থান তো আপনারা দেখেছেনই। তবে এখন যেহেতু ১৮ বছরের উপর থেকে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শুরু হয়েছে সেক্ষেত্রে সবাই টিকা পাবে। আমরা এখন হয়তো ২য় ডোজ কলেজ থেকে দেয়ার সুযোগ পাবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টিকা পাবে এই ঘোষণাতে কিন্তু সাত কলেজ ছিল না। আমরা আমাদের জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি।

প্রতিবেদক: শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।

সমন্বয়ক: শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে একটি কথাই বলবো যে সাত কলেজের সমন্বয়কের কাছে সব কিছুর দাবি নিয়ে আসা তেমন একটা লাভ নেই। আপনারা নিজ নিজ কলেজের অধ্যক্ষের কাছে দাবি তুলে ধরুন। আপনাদের কি কি সমস্যা তা অধ্যক্ষকে বলুন। সব বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ নেই। প্রতিটি কলেজের অধ্যক্ষই প্রধাণ। আমি সমন্বয়ক থেকে বরং অধ্যক্ষদের দাবি ঢাবিতে তুলে ধরতে পারি। শিক্ষার্থীদের দাবি আগে নিজ নিজ কলেজের অধ্যক্ষদের বলতে হবে।

আমারসংবাদ/জেআই