Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

আইন নিষ্ক্রিয় দর্শক, মিলবে কী ফেলানি হত্যার বিচার?

জানুয়ারি ৭, ২০২১, ০৮:১০ এএম


আইন নিষ্ক্রিয় দর্শক, মিলবে কী ফেলানি হত্যার বিচার?

বেঁচে থাকলে তাঁর বয়স হতো ২৫। হয়তো সুন্দর একটা সংসারও হতো তাঁর। ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়েই কাঁটাতার ডিঙিয়ে বাবার সাথে দেশে ফিরছিল ফেলানি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের খেলায় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়াতেই আটকে গেছে তাঁর স্বপ্ন।
 
ফেলানির মৃত্যুর ১০ বছর পার হলেও, কাঁটাতারের বেড়ায় ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি এখনও নাড়া দেই পুরো বিশ্বকে। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পার হলেও, এখনও ন্যায় বিচার পায়নি ফেলানির পরিবার। 

আদৌ কী মিলবে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার? নাকি এই ঘটনাতেও আইন শুধুই রয়ে যাবে নিষ্ক্রিয় দর্শক হিসেবে। 

ভারতেই বাবার সাথে কাজ করতেন ফেলানি। দেশে বিয়ে ঠিক হওয়ায় ১০ বছর আগের ঠিক এই দিনে দালালের মাধ্যমে বাবার সাথে দেশে ফিরছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলায় চৌধুরীহাট সীমান্তের কাঁটাতার দিয়ে তাঁর বাবা পার হয়ে গেলেও আটকে যায় ফেলানি। 

এরপর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সেখানেই প্রায় ৫ ঘন্টা ঝুলিয়ে রাখা হয় তাঁর মৃত দেহ। ফেলানির সেই ঝুলন্ত লাশের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে বিশ্বজুড়ে আলোড়নের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকেও জানানো হয় প্রতিবাদ।

নানামুখী চাপে ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী এ ঘটনার বিচার কার্যক্রম শুরু করলেও যে বিএসএফ সদস্যের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠে তাকে খালাস দেয়া হয়।

তবে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ভারতেরই একটি মানবাধিকার সংগঠন উচ্চ আদালতে যায়। কিন্তু সেই মামলার শুনানি হতে পারেনি আজও। এতো বছরেও কাঙ্ক্ষিত বিচার পায়নি ফেলানির পরিবার। 

প্রতিবছর প্রত্যেক ৭ জানুয়ারিতে টিভির পর্দায় কিংবা পত্রিকার পাতায় ফেলানির সেই ঝুলন্ত লাশের ছবি সবাইকে তাঁর কথা মনে করালেও, দিন শেষ হতেই আধারেই থেকে যায় ন্যায় বিচারের আশা। 

এতো বছর পর তাই একটাই প্রশ্ন আওয়াজ তোলে, আদৌও কী মিলবে ফেলানি হত্যার সুষ্ঠু বিচার?
 

আমারসংবাদ/এডি