Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

৩ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১, ০১:১৫ পিএম


৩ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে কমিটি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে দায়ীদের চিহ্নিত ও তাদের দায় নিরূপণ করতে সাত সদস্যের একটি কমিটি চূড়ান্ত করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হল- বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড।

ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং নামের এক কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ সদস্যের নাম সুপারিশ করেছিলো। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ আরও দুইজন সদস্যের নাম যুক্ত করে মোট সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন।  

আদালতে বাংলাদেশের ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। এ কমিটি এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেখভালের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দায়ও খতিয়ে দেখবেন।

আদালত আদেশে বলেছে, এই তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের সাথে কমিটির কোনো সদস্য জড়িত থাকলে বা কোনো সদস্যের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে সেই সদস্য দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন।

এই কমিটি তদন্তের প্রয়োজনে এই তিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ যে কোনো প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট যে কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।

বিআইএফসির পরিচালনা পর্ষদ অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে বিদেশি অংশীদারী প্রতিষ্ঠান ‘টিজ মার্ট ইনকরপোরেটেড’ এর করা এক  আবেদনে গত বছর ১৭ ডিসেম্বর পর্যবেক্ষণসহ আদেশ দেয় হাই কোর্টের এই কোম্পানি বেঞ্চ।

সেই আদেশের পর্যবেক্ষণে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তদারকির দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাজে উষ্মা প্রকাশ করা হয়।

হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে বলে, দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি-উন্নয়নের জন্য সরকার প্রধান যেখানে ক্লান্তিহীন কাজ করে যাচ্ছেন, সেখানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেখভালের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিশেষ করে ডিজিএম, জিএম, নির্বাহী পরিচালক ও ডেপুটি গভর্নররা ঠগবাজ, প্রতারক ও অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। ব্যক্তি স্বার্থের জন্য আর্থিক খাতের এই বিপর্যয়ের জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিৎ।

২০০২ সাল থেকে এ পর্যন্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিযুক্ত কর্মকর্তাদের সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার কথাও বলা হয় আদালতের পর্যবেক্ষণে।

হাইকোর্ট মনে করে, এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধান চালানো উচিত।

আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ঠগবাজ ব্যবসায়ী, প্রতারকরা যাতে জনসাধারণের অর্থ আত্মসাত করতে না পারে, বাংলাদেশে ব্যাংকের গভর্নর সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকবেন। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এদের গোপন আঁতাত, পরিকল্পনা ভেঙে দিতে হবে। 

এই পর্যবেক্ষণের পরই গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে সোমবার তা আদালতে দাখিল করে। 

আমারসংবাদ/এআই