নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ৮, ২০২১, ০৩:০০ পিএম
মঙ্গলবার (৮ জুন) পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৯১৩ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ লাখ ১৫ হাজার ২৮২ জনে। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৩০২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪৪ জনের। এবং ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে আরো ২ হাজার ৩২২ জনের শরীরে। করোনা সংক্রমণের নতুন হটস্পট হয়ে ওঠা রাজশাহী বিভাগ দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় ঢাকাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে গত দুইদিন ধরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৮ জুন) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে ৬৭৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা দেশের আট বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ। এসময়ে ঢাকা ও খুলনায় ৫৪৪ জন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রামে ২৯১ জন, রংপুরে ১১৪ জন, বরিশালে ৩৯ জন, সিলেটে ৬৯ জন এবং ময়মনসিংহে ৪৮ জন মিলিয়ে সারাদেশে মোট ২ হাজার ৩২২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। রাজশাহীতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা খুলনা বিভাগের।
গত এক দিনে ঢাকায় যেখানে শনাক্তের হার ৬ শতাংশের মত, চট্টগ্রামে তা ১১ শতাংশ, রাজশাহীতে ১৬ শতাংশ, রংপুরে ২৬ শতাংশ, খুলনায় খুলনায় ৩৭ শতাংশ।
রাজশাহীতে শনাক্ত রোগী বাড়ার এই প্রবণতা স্পষ্ট হয় সোমবার। সেদিন ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে ৬০৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, ঢাকায় সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৫৪৫ জনের মধ্যে, খুলনায় ৪২৭ জন নতুন রোগীর সন্ধান মিলেছিল।
এছাড়া চট্টগ্রামে ২৪৪ জন, রংপুরে ৯৪ জন, বরিশালে ৪১ জন, সিলেটে ৫৪ জন এবং ময়মনসিংহে ৪৯ জন মিলিয়ে সারাদেশে মোট ১ হাজার ৯৭০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে।
চলতি বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। মার্চের প্রথমার্ধেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের ওপরে চলে যায়। বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও।
গত ২৬ মার্চের বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যু খবর দেয়া হয়, সেখানে ১৯ এপ্রিলের বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় ১১২ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ওই দিনই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনো বহাল রয়েছে। এই বিধিনিষেধে মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
আমারসংবাদ/এআই