Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

সারাবিশ্বের নারীদের অনুপ্রেরণা সুমাইয়া জাফরিন চৌধুরী

জুলাই ২২, ২০২১, ০৫:৩৫ এএম


সারাবিশ্বের নারীদের অনুপ্রেরণা সুমাইয়া জাফরিন চৌধুরী

সুমাইয়া জাফরিন চৌধুরী নারীর স্বাধীনতা, সমতা ও উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তা তৈরি, নারীদের উদ্ভাবন ও নারী স্বাস্থ্য সচেতনার সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছেন। 

জন্ম দিনাজপুরে, বেড়ে উঠেছেন সৌদি আরবের রিয়াদে। বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, বাবার অনুপ্রেরণাতেই শৈশব থেকেই যুক্ত নানান সামাজিক কর্মকাণ্ডে। 

২০০৮ সালে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে আসার পর অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। সবাই তাকে নিরুৎসাহিত করলেও দমে যাননি। 

নিজেই কিছু একটা করার ইচ্ছা এবং নারীদের স্বাধীনতা, সমতা, ক্ষমতায়ন এবং অধিকার রক্ষায় কাজ করার চেষ্টা করেছেন। তিনি ও তার স্বামী পাভেল সারওয়ার মিলে প্রতিষ্ঠা করেন তরুণদের জন্য বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম 'ইয়ুথ হাব'।

প্রযুক্তি ছিল পছন্দের বিষয়। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশনের ওপর ডিগ্রি নিয়ে সফটওয়্যার স্টার্টআপ 'পাইকনস্ট্যান্ট' নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। যেখানে প্রযুক্তির সহায়তায় সামাজিক সমস্যা সমাধান করা হয়।

বর্তমানে তিনি গুগল লোকাল গাইডসের কানেক্ট মডারেটর হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন। গুগল লোকাল গাইডস গুগলের একটি পরিষেবা। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে গুগল লোকাল গাইডসের সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ছবি স্থান পেয়েছে। 

এছাড়া সুমাইয়াকে নিয়ে তাদের অফিসিয়াল সাইটেও একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, সুমাইয়া জাফরিন চৌধুরী সারাবিশ্বের নারীদের অনুপ্রেরণা।

গুগল ক্রাউডসোর্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইন্টারনেটে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন ধরে। এরই অংশ হিসেবে ২০১৮ সালে গুগল ক্রাউডসোর্স থেকে তিনি সেরা কমিউনিটি লিডারের অ্যাওয়ার্ড পান। সমাজকর্মী হিসেবে তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করেছেন রোহিঙ্গাদের নিয়ে। বাংলাদেশের যে কোনো দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। 

২০১২-২০১৮ পর্যন্ত শীতার্তদের মাঝে শীতবন্ত্র বিতরণের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন উইন্টার ড্রাইভ হেড অ্যাওয়ার্ড এবং সমাজকল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ হিউম্যান এইড অ্যাওয়ার্ড-২০১৭ অর্জন করেন।

করোনাকালে 'ত্রিকোণোমিতি' নামে একটি উদ্যোগ নেন। যেখানে অসহায় ও দরিদ্র নারীদের মাঝে ১০ হাজারের অধিক স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়া হয়। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের উপযুক্ত ডিজিটাল ম্যাপিং না থাকায় সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে জরুরি সেবাগুলো দেওয়া দুস্কর ছিল। এ জন্য ইয়ুথ হাব ও অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে 'বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ' নামের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। 

ঘরে বসেও পথ দেখানো সম্ভব- এই স্লোগান সামনে রেখে দেশব্যাপী গুগল ম্যাপে বিভিন্ন জরুরি সেবার স্থান যুক্ত করা হয়। এ উদ্যোগে ৩১ হাজার ৮৭ জন তরুণ-তরুণী লক্ষাধিক নতুন স্থান ম্যাপে যুক্ত করেন।

[media type="image" fid="133716" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

এছাড়া করোনার সময় 'ভার্চুয়াল ডক্টর' নামক অ্যাপসের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করেছেন। নারীরা ঘরে বসে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে- এমন উপলব্ধি থেকে গত জুনে ভার্চুয়াল ভেঞ্চার নামে নতুন এক উদ্যোগ হাতে নেন। একজন সমাজকর্মী হিসেবে সুমাইয়া নারীদের স্বাধীনতা, সাম্য ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

আমারসংবাদ/এএস/এআই