Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

বিক্রয়ডটকমে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ২১, ২০২১, ০৪:৪৫ এএম


বিক্রয়ডটকমে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো তারা

বিক্রয়ডটকমে প্রতারণার অভিযোগে গেলো শুক্রবার ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোবাইল, বিদেশি পণ্য, পুরানো গাড়ি সহ নানা সামগ্রীর ছবি সহ চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রির নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো তারা। আর এই জন্য তারা ব্যবহার করতো পুলিশের পরিচয়। ডেলিভারি দেয়ার কথা বলে নেয়া হতো অগ্রিম টাকা। আর এরপরই হয়ে যেতো লাপাত্তা।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো সোজায়েত আহমেদ শিখন, আল আমিন ও শাহিনুর রহমান বিপ্লব। তাদের কাছ থেকে ১২টি মোবাইল ফোনসেট, ২৭৯টি সিম, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ১৬টি বুকিং বই, বুকিংয়ের ১০টি সিল, দুটি ল্যাপটপ ও আটটি মোবাইল বক্স উদ্ধার করা হয়েছে। এসব প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা হতো। চার পুলিশ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে প্রতারক চক্র এই প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল।

খিলগাঁওয়ের আবু বকর সিদ্দিকী বিক্রয় ডটকম থেকে মোবাইল অর্ডার দিলে বিক্রেতা তার কাছে বিকাশে অগ্রিম টাকা চান। পরে টাকা নিয়ে মোবাইল ফোনটি বাসার ঠিকানায় ডেলিভারি দেয়া হয়েছে বলে জানায় প্রতারক। প্রমাণস্বরূপ সুন্দরবন কুরিয়ারের একটি চালানও পাঠানো হয়। কিন্তু মাস পেরিয়ে গেলেও ফোনের খোঁজ মেলে না। হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় প্রতারকদের ফোন নম্বরগুলো এমনকি বিক্রয় ডটকম থেকেও লাপাত্তা হয়ে যায় তাদের তথ্যগুলো।

একই অবস্থা কুমিল্লার মেহেদী হাসান ও গাজীপুরের তারেক হোসেনের। তারা সবাই একই প্রতারকের কাছ থেকে পণ্য কিনতে গিয়ে ফাঁদে পড়েন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রতারকদের একজন নিজেক পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে আইডি কার্ডও দেখাতো। 

পুলিশ বলছে, এরা ভুয়া ফোন নম্বর, ই-মেইল এবং অনলাইন প্রতিষ্ঠানে ভূয়া আইডি খুলে প্রতারণা করতো। এক্ষেত্রে, বিক্রয় ডট কমের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর দায় আছে বলেও জানায় পুলিশ। 

শুধু তাই নয়, সুন্দরবন কুরিয়ারের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে এরা টাকার বিনিময়ে খালি চালানপত্রের বই কিনে আনতো বলেও জানালেন ঢাকা ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এম হাফিজ আক্তার। তাই ঝুঁকি এড়াতে পণ্য হাতে পাওয়ার আগে টাকা পরিশোধ না করার পরামর্শ পুলিশের।

সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রাহকের বিশ্বাস অর্জন করতে প্রতারক চক্র দুটি অভিনব পথ বেছে নিয়েছিল। প্রথমত, পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র পাঠাতো ক্রেতার কাছে। দ্বিতীয়ত, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের বুকিং স্লিপ পাঠানো হতো। জাতীয় পরিচয়পত্র তারা প্রতারণা করে সংগ্রহ করেছিল। আর সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের আসল বুকিং বই টাকার বিনিময়ে সংগ্রহ করেছিল। বিক্রয় ডটকমে বিজ্ঞাপন দিয়ে মোবাইল ফোন বিক্রির নামে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।

আমারসংবাদ/এআই