Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪,

হাওরে হচ্ছে এলিভেটেড সড়ক, ব্যয় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা

আশরাফুল ইসলাম তুষার, কিশোরগঞ্জ

নভেম্বর ২৩, ২০২১, ১১:৩৫ এএম


হাওরে হচ্ছে এলিভেটেড সড়ক, ব্যয় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা

কিশোরগঞ্জের হাওরের ওপর দিয়ে ১১ কিলোমিটার এলিভেটেড সড়ক নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক নির্মাণসহ ১০ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটি। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিফ্রিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এই উদ্যোগটি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে পর্যটনকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, হাওর অঞ্চল দীর্ঘদিন পিছিয়ে ছিল। এখন আওয়ামী লীগ সরকার গুরুত্ব দিয়েছে।

এই প্রকল্পটি হাওর পরিস্থিতি সহনশীল অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে হাওর এলাকায় সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করে কৃষি উৎপাদন ও বিপণনে সহায়তা করবে।

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা এবং নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলা উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার আওতায় আসবে।

প্রকল্পের আওতায় ১০ দশমিক ৮ কিলোমিটার এলিভেটেড সড়কের পাশাপাশি সব মৌসুমে ব্যবহার উপযোগী ৯৭ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক ও ২০ দশমিক ২৭ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক নির্মাণ করা হবে।

এছাড়া পানিতে তলিয়ে যাবে এমন ১৬ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার উপজেলা ও ২২ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়ক এবং ৫৭টি সেতু ও ১১৮টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।

বাংলাদেশ প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) প্রস্তাবিত এলিভেটেড সড়কের সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে।

বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে প্রস্তাবিত এলিভেটেড রোডে যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে।

প্রতিবছর বর্ষাকালে বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় হাওর এলাকাগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনাকারী দলের সদস্য হাদিউজ্জামান বলেন, রাস্তার অভাবের কারণে শুষ্ক মৌসুমেও মানুষ যোগাযোগের সমস্যার সম্মুখীন হয়, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে হাওর এলাকায় ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নের ফলে সারা বছর পণ্য, কৃষি পণ্য এবং মৎস্য সম্পদ দ্রুত ও সহজে পরিবহনের সুবিধা হবে। ফলে গ্রামীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেগবান হবে।

তা ছাড়া পর্যটকদের বিস্তীর্ণ হাওরের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ করে দিতে এলিভেটেড রোডের দুপাশে অন্তত ৬ থেকে ৭টি দ্বিতল টাওয়ার নির্মাণ করা হবে।

আমারসংবাদ/এআই