Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

মেঘনা নামে কুমিল্লা ও পদ্মা নামে ফরিদপুর বিভাগ হবে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ৭, ২০২১, ১০:০৫ এএম


মেঘনা নামে কুমিল্লা ও পদ্মা নামে ফরিদপুর বিভাগ হবে: প্রধানমন্ত্রী

মেঘনা নদীর নামে কুমিল্লা ও পদ্মা নদীর নামে ফরিদপুর বিভাগ করতে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) নিজের আগ্রহের কথা পুর্নব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় নতুন দুই বিভাগ নিয়ে আলোচনাকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেরে-বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেখানে (একনেক সভায়) উনি (প্রধানমন্ত্রী) পুর্নব্যক্ত করেছেন ওনার ইচ্ছেটা- আমাদের দুটো বড় নদী মেঘনা-পদ্মা, কুমিল্লাটা হতে পারে মেঘনা ডিভিশন, আর ফরিদপুর হবে পদ্মা ডিভিশন। দুই নদীর নামে চাচ্ছেন। এ রকম একটা ইচ্ছের কথা পুর্নব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।’

ডিজিটাল অর্থনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টিসহ ১০ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৪৪৭ কোটি ৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩ হাজার ৬৮২ কোটি ২৮ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১৫৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ৩ হাজার ৬১০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। 

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, সভায় ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান জানান, নদী ড্রেজিংসংক্রান্ত প্রকল্পে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় যুক্ত থাকে। তাই এ ক্ষেত্রে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সমন্বয় করবে। তা ছাড়া ড্রেজিং কার্যক্রমকে সাবধানতা অবলম্বন করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 

হাওড় এলাকায় এলিভেটেড রাস্তা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। যাতে শীতকালে ধান চাষ করা যায় এবং বর্ষাকালে পানি চলাচল করতে পারবে। সেই সঙ্গে বর্ষাকালে সেচকাজে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করার নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন দেরি শুধু বাংলাদেশে নয়, সুইজারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডেও হয়। আমার পরিচিত একজন সুইজারল্যান্ডে থাকেন। তিনি জানান, দুই বছরের রাস্তার কাজ আজকে চার বছরেও শেষ হচ্ছে না।

আমারসংবাদ/জেআই