Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

আছে আইন নেই মাস্ক

জানুয়ারি ১৫, ২০২২, ০১:০০ পিএম


আছে আইন নেই মাস্ক

করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলছে ১১ দফা বিধিনিষেধ। বিধিনিষেধের ৩য় দিনেও মানুষের মাঝে নেই ব্যক্তিগত সচেতনতা। করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ইস্যুতে নতুন করে সরকার গত বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বিধিনিষেধ জারি করেছে।

১১ দফা এই বিধিনিষেধে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে মুখে মাস্ক পরার বিষয়কে।রাস্তায় কিংবা গণপরিবহণে চলাচলের সময় মুখে মাস্ক নিশ্চিতে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে মোবাইল কোর্ট বসানো হয়েছে। মুখে মাস্ক ছাড়া অবাধে চলাচলকারী সকলকে গুনতে হচ্ছে জরিমানা,পেতে হচ্ছে শাস্তি।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সরেজমিনে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে দেখা যায় মানুষের উদাসিনতা। কেউ কেউ মাস্ক পরা ছাড়া বাজার করছেন, কেউ কেউ চড়ছেন গণপরিবহনে। এমন পরিস্থিতির লাগাম টানতে বসানো হয়েছে মোবাইল কোর্ট। তবে কিছু কিছু মানুষ সরকারের এই বিধিনিষেধকে একেবারে বৃদ্ধাআঙ্গুলই দেখাচ্ছে।

রাজধানী শাহবাগ এলাকায় মোবাইক কোর্টে আজ ১৭টি বাসে মধ্যে থেকে যারা মাস্ক পরেনি তাদের জরিমানার আওতায় আনা হয়েছে। প্রত্যকজনকে ১০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

এ সময় মাস্ক না পরা এক বাসের যাত্রীকে জরিমানা করার সময় কথা হয় তা সাথে। মাস্ক নেই কেনো সে বিষয়ে তিনি বলেন, মাস্ক পরতে ভুলি গেছি। তাড়াহুরো করে বের হইতে গিয়ে মাস্ক নিতে পারি নাই।

এ সময় মাস্ক বিহীন এক পথচারীকে জরিমানা করলে তিনি বলেন, আমার সাথে মাস্ক ছিলো। মাস্কে রশ্মি ছিড়ে যাবার কারণে রাস্তায় ফেলে দিয়েছি।

১১ দফা বিধিনিষেধ গুলো হলো:

১. দোকান, শপিং মল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরতে না হবে। না পরলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে;

২. অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যত্যয় রোধে সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে;

৩. রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই করোনা ভ্যাকসিন সনদ প্রদর্শন করতে হবে;

৪. ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারিত তারিখের পরে ভ্যাকসিন সনদ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না;

৫. স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পোর্টগুলোতে ক্রু-দের জাহাজের বাইরে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। স্থলবন্দরগুলোতে আসা ট্রাকের সঙ্গে কেবল চালক থাকতে পারবেন, কোনো সহকারী আসতে পারবেন না। বিদেশগামীদের সঙ্গে আসা দর্শনার্থীদের বিমানবন্দরে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে;

৬. ট্রেন, বাস ও লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নেওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকারিতার তারিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। সব ধরনের যানের চালক ও সহকারীদের অবশ্যই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সনদধারী হতে হবে;

৭. বিদেশ থেকে আসা যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন সনদ প্রদর্শন ও র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হবে;

৮. স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং মাস্ক পরিধানের বিষয়ে সব মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন;

৯. সর্বসাধারণের করোনার ভ্যাকসিন ও বুস্টার ডোজ গ্রহণ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রচার ও উদ্যোগ নেবে। এক্ষেত্রে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেওয়া যাবে;

১০. কোভিড আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে; এবং

১১. কোনো এলাকায় ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো পরিস্থিতি দেখা দিলে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে পারবে।