Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

লক্ষ্মীপুরে কালের সাক্ষী জমিদার বাড়ি

সাফায়েত সাকিব, লক্ষ্মীপুর সদর

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১, ০৭:০৫ পিএম


লক্ষ্মীপুরে কালের সাক্ষী জমিদার বাড়ি

লক্ষ্মীপুরের অন্যতম প্রাচীন স্থাপনাগুলোর মধ্যে দালাল বাজার জমিদার বাড়ি অন্যতম। প্রায় ৩০০ বছর ধরে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই জমিদার বাড়ি। এর পাশেই রয়েছে ইতিহাস বিজড়িত বিশাল ‘খোয়া সাগর দীঘি’।

স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ৪০০ বছর আগে জনৈক লক্ষ্মী নারায়ণ বৈষ্ণব কলকাতা থেকে লক্ষ্মীপুরে কাপড়ের ব্যবসা করতে আসেন। তার উত্তর পুরুষরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্যিক এজেন্সি এবং পরে জমিদারি লাভ করেন। ১৭৬৫ সালে সর্বপ্রথম লক্ষ্মী নারায়ণ বৈষ্ণবের নাতি গৌর কিশোর রায় রাজা উপাধি লাভ করেন।  সে সময় ‘খোয়া সাগর’ নামক দীঘিটি খনন ও জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করা হয়।

তবে স্থানীয়রা জমিদারদের ব্রিটিশদের ‘দালাল’ বলে আখ্যায়িত করেন। যে কারণে জমিদার বাড়ি সংলগ্ন এলাকাটি দালাল বাজার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৪৬-এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জমিদাররা পালিয়ে গেলে তাদের পরিত্যক্ত জমিদার বাড়িটি রয়ে যায়। প্রায় পাঁচ একরের এ জমিদার বাড়ির সামনের রাজগেট, রাজপ্রাসাদ, জমিদার প্রাসাদ, অন্দর মহল প্রাসাদ, বাড়ির প্রাচীর, শান বাঁধানো ঘাট, নাট মন্দির প্রভৃতি দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসতে চাইলে লক্ষ্মীপুর সদর থেকে সিএনজিযোগে মাত্র ১৫ মিনিটে পৌঁছে যাবেন দালাল বাজার জমিদার বাড়ি এবং খোয়া সাগর দীঘি। তবে দীর্ঘ সময় সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে স্থাপনাটি অরক্ষিত রয়েছে। দর্শনার্থীদের আনাগোনা বাড়ায় এখানে দেয়াল ধসে পড়ার ঝুঁকিও বেড়েছে বহুগুণ।

জানা যায়, ইতোমধ্যে স্থানটিতে লক্ষ্মীপুরে প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর ও পর্যটনকেন্দ্র করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। তবে প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর ও পর্যটনকেন্দ্র করা হলে দালাল বাজার ‘জমিদার বাড়ি’ এবং ‘খোয়া সাগর দীঘি’ বৃহত্তর নোয়াখালীসহ সারা দেশের পর্যটকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে বলে মনে করছেন পর্যটনপ্রেমীরা।