Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

যুবলীগ চেয়ারম্যানের নম্বর ক্লোনে চাঁদা দাবি

অক্টোবর ১৯, ২০২১, ০৯:৩৫ পিএম


যুবলীগ চেয়ারম্যানের নম্বর ক্লোনে চাঁদা দাবি

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের মোবাইল নম্বর ক্লোন করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকা দাবি করার অভিযোগে প্রতারকচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সাইবার ক্রাইম ইউনিট।  গতকাল মঙ্গলবার ভোরে ফরিদপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রতারকচক্রের আরো তথ্য জানতে তাদের তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। সকালে সিএমএম কোর্টের বিচারক আশেক ইমামের আদালতে তাদের তোলা হলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  

মামলার বাদী ব্যারিস্টার রানা তাজউদ্দিন খান বলেন, সম্প্রতি যুবলীগ চেয়ারম্যানের মোবাইল নম্বর ক্লোন করে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্নজনের কাছে টাকা দাবির মতো ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে বনানী থানায় মামলা করা হলে সাইবার ক্রাইম টিম প্রতারকচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।  গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন এ অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া সাইবার ক্রাইমের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ধ্রুব জ্যোর্তিময় গোপ। 

সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারের আগে ফিরোজ খন্দকার হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষাধিক টাকা। তিনি ঢাকার খিলখাঁও থেকে কেরানীগঞ্জের মধ্যে বিভিন্ন বুথ থেকে এ প্রতারণার টাকা তোলেন। সন্দেহ এড়াতে এ প্রতারণার টাকা উত্তোলনের সময় মোটরসাইকেল চড়ে বিভিন্ন বুথ থেকে অল্প অল্প করে টাকা তোলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার। অভিযোগ পেয়ে পুলিশের সিটি সাইবার ইন্টারনেট রেফারেল টিম খিলখাঁও থেকে কেরানীগঞ্জের যেসব বুথ থেকে ফিরোজ খন্দকার টাকা তোলেন, তার সবগুলোর ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে। যুবলীগ চেয়ারম্যানের হয়ে ১৫ অক্টোবর রাজধানীর বনানী থানায় ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করেন ব্যারিস্টার রানা তাজউদ্দিন খান। মামলাটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৪ ও ২৬  ধারায় করা হয়েছে। এতে মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোনিং করে টাকা দাবির অপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার পরপরই সাইবার সিটি তদন্তে নামে। এক পর্যায়ে ফিরোজ খন্দকারকে শনাক্ত করে সাইবার সিটি। 

সূত্র জানায়, পরশের নাম করে তার ব্যবহূত রবি নম্বরটি ক্লোন করে গত ৯ অক্টোবর প্রথম ফোন করা হয় গাইবান্ধা যুবলীগ সভাপতি সরদার মো. শাহীন হাসান লোটনের গ্রামীণ ফোন নম্বরে। সংগঠনের জন্য চাঁদা হিসেবে তাকে একটি রকেট নম্বরে টাকা পাঠাতে বলা হয়। একই দিন নেত্রকোনা যুবলীগের আহ্বায়ক জনি ও সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের চপলকে ফোন করে বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠাতে বলা হয়। ১০ অক্টোবর মুশফিকুল ইউনুস জায়গীরদার নামে এক ব্যক্তি এবং পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সনি বিশ্বাসকে ফোন করে বিকাশে টাকা চাওয়া হয়। এছাড়া গত কদিনে একই পরিচয়ে দেশের কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে ফোন করে টাকা দাবি করে প্রতারকচক্রটি।