Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪,

বিএনপি’র ৭ নেতা পৃথক মামলায় ২ দিন রিমান্ড

জানুয়ারি ২৮, ২০১৫, ০১:১৬ পিএম


বিএনপি’র ৭ নেতা পৃথক মামলায় ২ দিন রিমান্ড

 

বিএনপি’র চেয়ারপারসর্নের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুুদু, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ৭ জনকে পৃথক ২ মামলায় জামিন নাকচ করে প্রত্যেকে ২ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ, হত্যার প্রচেষ্টা, সংক্রান্ত মিরপুর থানার মামলায় দুদুকে ১০ দিনের রিমান্ড দেওয়ার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদন করেন। আসামি পক্ষে রিমান্ড বাতিল করে জামিন চান। ঢাকার মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে জামিন আবেদন নাকচ করে ২ দিনের রিমান্ড দেন।

বনানী থানায় জিয়াউর রহমান হামদদ ল্যাবরেটরীজ এর সামনে মিনিবাসে আগুন দিয়ে পুলিশ হত্যা চেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান,হাবিবুর রহমান হাবিব, শামীমুর রহমান শামীম, আহসান হাবিব লিংকন, মনিরুল হক মনির, ও বেলাল আহমেদকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদেরকে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. আনোয়ার সাদাত এর আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চান। আসামি পক্ষে রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিন  চান। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে জামিন আবেদন নাকচ করে প্রত্যেককে ২ দিন করে রিমান্ড দেন।

রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি  সালমা হাই টুনি এবং বিশেষ পিপি মো. ফজলে রাব্বী । আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মো. সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মোসলেহ উদ্দিন জসিম, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, জিয়া উদ্দিন, মেজবাহ, মহিউদ্দিন, নূরুজ্জামান, আ.হান্নান ভূইয়াসহ বেশকিছু আইনজীবী। আসামি পক্ষে আইনজীবী আদালতে বলেন, শামসুজ্জমান দুদুকে মিথ্যা অভিযোগ এনে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মিরপুর থানাধীন রোকেয়া স্বারনী হাতিল ফার্নিচার এর সামনে যে গাড়ি পোড়ানো এবং পুলিশকে হত্যা প্রচেষ্টার কথা বলেছে তা সঠিক নয়।

কারণ মামলার ঘটনা ২৮ ডিসেম্বরে। তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। কারণ তার বাসা হচ্ছে মেরুল বাড্ডায়।  কেবল মাত্র রাজনৈতিক কারণে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার করে রিমা- চেয়েছে। সেজন্য রিমা- বাতিল করে জমিন দেয়া হউক। বনানী থানার মামলায় যে ঘটনা দেখানো হয়েছে যে জিয়াউর রহমান হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ এর সামনে মিনিবাসে আগুন দেয়নি। কাউকে হত্যা চেষ্টাও করেনি। কেবল মাত্র বিএনপি’র রাজনৈতিক  এই নেতাদেরকে হয়নানী করার এ মামলায় গ্রেফতার করেছে।

এ মামলায় ঘটনা দেখানো হয়েছে ৬ জানুয়ারি তারিখে । এ মামলায় ২৮ জন আসামি এজাহার নামীয়। গ্রেফতারকৃত ৬ জনের নাম এজাহারে নাই। তারপর ও পুলিশ তাদের শোন এরেস্ট করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে।

ইতিপূর্বে তাদেরকে গুলশান থানার মামলায় রিমান্ড নিয়েছে। কোন কিছুই তাতের নিকট থেকে উদ্ধার করতে পারেনি। তারপর আবার হয়রানী করার জন্য জেলে আটক  এই ৬ জনকে বনানী থানায় এ মামলায় আবার রিমান্ড কেন। তার কোন নাশকতামূলক কার্যক্রম, পেট্রোল বোমা ছুড়ার সাথে জড়িত নয়। তারা সবাই বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে আছে।

 এ ব্যাপারে ডাক্তারী সনদ পত্র আদালতে জমা দেয়া হলো। তাদের রিমা- নয় মানবিক কারণে জামিন দেয়া প্রয়োজন। রাষ্ট্র পক্ষে রিমা- বিষয়ে আদালতে বলেন, আসামিদের মদদে ও সলা পরামর্শে বাসে আগুন  পুলিশ হত্যার চেষ্টা, ১০ দিনের রিমা- নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। জামিন আবেদন নাকচ হবে।