Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

সালমান শাহ’র মৃত্যু রহস্য র‌্যাবকে তদন্ত করার নির্দেশ

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৫, ০১:২৮ পিএম


সালমান শাহ’র মৃত্যু রহস্য র‌্যাবকে তদন্ত করার নির্দেশ

 
চিত্র নায়ক সালমান শাহ’র মৃত্যুরহস্য উৎঘাটনের জন্য র‌্যাবকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সালমান শাহ’র মা নীলা চৌধুরীর এক না-রাজী দরখাস্তের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ নির্দেশ দেন।

চিত্র নায়ক সালমান শাহ‘র মৃত্যু ১৮ বছর পর  আলোচিত এ ঘটনায় অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত কাজ শেষ করে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেন। সে প্রেক্ষিতে নীলা চৌধুরী গত ২১ ডিসেম্বর  এত ক্ষুব্ধ হয়ে না- রাজী দরখাস্ত দেওয়ার জন্য ঢাকার সিএমএম আদালতে আবেদন করেন। আদালত ১০ ফেব্রুয়ারিতে না-রাজী দরখাস্ত দাখিলের সময় দেন।

 সে কারণে মঙ্গলবার না-রাজী দরখাস্ত দাখিল করেন আদালতে। উক্ত দরখাস্তে বলা হয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার প্রকৃত ঘটনার মূল রহস্য উৎঘাটন করেনি। যারা মামলার ঘটনার সময় এবং হত্যাকান্ডে জড়িত তাদেরকে তিনি চিহ্নিত করেনি। দীর্ঘ তদন্তের কথা বলা হলেও তিনি সঠিকভাবে তদন্ত না করে মনগড়া রিপোর্ট তৈরি করে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেন।
 
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টম্বর তারিখে ১১ বি নিউ ইস্কাটন বাসায় সালমান শাহ ও তার স্ত্রী সামিরা বসবাস করতেন। সেদিন তার পিতা কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী তার বাসা থেকে সিলেট যাওয়ার জন্য তার স্ত্রী নীলা চৌধুরী ও তার ছোট ছেলে নিয়ে সালমানের বাসায় যায় এবং তার স্ত্রী বলে, সিলেট যাবে মর্মে সালমান শাহ’র বাসায় যায়। তারা বাসায় গিয়ে দেখে সালমান ঘুমাচ্ছে। পরে সিলেট রওনা হলে  মাঝ পথে বাসা থেকে সেলিম নামক এক ব্যক্তি তার পিতাকে ফোন করেন এবং বলে তার ছেলের অবস্থা ভাল নয়। পরে তারা দ্রুত সালমানের বাসায় আসে। সেখানে দেখে অপরিচিত কয়েকজন মহিলা সালমানের হাতে ও পায়ে তেল মালিশ করছে। পরে তারা তাকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নিয়ে যায়। যাওয়ার পথে সালমানের গলায় দড়ির দাগ দেখতে পায় এবং মুখ মন্ডল,হাত ও পা নীল হয়ে গেছে।  

পরে ঐ হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানের ডাক্তাররা বলেন সে  আনেক আগেই মারা গেছে। সালমানকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তখন বাসায় বাদল খন্দকার, সামিরা ও বাসায় ছিল। এ ঘটনায় রামনা থানায় সেদিনই সালমান শাহ বাবা কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী অভিযোগ দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহবুবুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে চুড়ান্ত রিপোর্ট দেন। সেই চুড়ান্ত  রিপোর্টের আলোকে আদালত নীলা চৌধুরীকে নোটিশ পাঠালে তিনি তার আইনজীবী নিয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হন এবং মৃত্যু রহস্য উৎঘাটনের জন্য না-রাজী দরখাস্ত দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। আদালত শুনানী শেষে  না-রাজী দরখাস্ত গ্রহণ করে র‌্যাব হেড কোয়াটারকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার পরবর্তী তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৫ ধার্য করেন আদালত।