Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

মাহজাবিন হত্যা মামলায় খান টিপু সুলতান ও তার স্ত্রী জামিন

ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪, ০১:৩৬ পিএম


মাহজাবিন হত্যা মামলায় খান টিপু সুলতান ও তার  স্ত্রী জামিন

  ডা. শামরুখ মাহজাবিন হত্যা মামলায় খান টিপু সুলতান ও তার  স্ত্রীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। হাইকোর্টের জামিনের মেয়াদ শেষে রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসামিরা আত্মসমর্পন করে জামিন চায়। শুনানী শেষে অবকাশকালীন বিচারক মো. রুহুল আমিন মূলনথি প্রাপ্তী পযর্ন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।  এ মামলায় শামরুখের স্বামী  হুমায়ুন সুলতান সাদাব গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আটক আছে।

শুনানীতে আসামিদের আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান আদালতে বলেন, আসামিরা উচ্চাদালত থেকে জামিন পেয়ে নিয়মিতভাবে আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। উচ্চাদালতে দেয়া  জামিনের মেয়াদ  অদ্য শেষে হয়েছে। জামিনের মেয়াদ শেষে ঢাকার মহানগন দায়রা জজ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ আছে। যেহেতু  ঢাকার মহানগর দায়রা জজ  আদালত ডিসেম্বর মাস সরকারি ছুটিতে আছে সেজন্য অবকাশকালীন আদালতে এসেছে। আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পন করে জামিন চাচেছ। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতে বলেন, মূলনথি নাই, এ পর্যায়ে আদালতে মূলনথি দেখা প্রয়োজন আছে। আদালত উভয় পক্ষে বক্তব্য শুনে মামলার মূলনথি  প্রাপ্তী সাপেক্ষে  পুনরায় শুনানীর জন্য বলেন। যখন নথি পাওয়া যাবে তখনই জামিন শুনানী হবে। এ অবস্থাতে আসামিরা জামিনে থাকবে।

এ হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা খান টিপু সুলতানের ছেলেকে  ১৪ নভেম্বর তারিখে ধানমন্ডি থানার পুলিশ গ্রেফতার করে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমা- । আদালত ২ দিনের রিমা-  করেন। অত:পর রিমা- শেষে জামিন চাইলে তার জামিন নাকচ করেন আদালত। সেই নাকচ আদেশের বিরুদ্ধে আসামি পক্ষ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফৌজদারী বিবিধ মামলা দায়ের করে তার জামিন চায়। আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইমরুল কায়েস শুনানী শেষে তার জামিন আবেদন নাকচ করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর  রাজধানী ধানমন্ডির বাসভবনে গলায় ফাঁস দেওয়া আবস্থায় ডা. শামারুখ মাহজামিনকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ওই রাতেই ডা. শামারুখের বাবা নূরুল ইসলাম ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (যশোর-৫) টিপু সুলতান ও তার স্ত্রী ডা. জেসমিন ও ছেলে সাদাকে আসামি করা হয়। এ মামলায় টিপু সুলতান ও তার স্ত্রী উচ্চাদালত থেকে জামিন নেয়।