Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

জিহাদী গ্রুপের দুই সদস্য ৫ দিনের রিমান্ডে

জুন ২৫, ২০১৫, ১১:৫২ এএম


জিহাদী গ্রুপের দুই সদস্য ৫ দিনের রিমান্ডে

   সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপের দুই সদস্যকে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপ’র কমান্ডার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও অর্থদাতা ফিরোজকে আদালতে হাজির করে খিলগাঁও থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান শুনানি শেষে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে বুধবার বিকেল ৫ টার দিকে ডিবি (দক্ষিণ) ‘বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপ’র কমান্ডার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ওরফে মিলন ওরফে মিলু ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে অনিক এবং অর্থদাতা ফিরোজ ওরফে মোহাম্মদ তমালকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে তিনটি বিদেশী পিস্তল, ১৫ রাউন্ড গুলি, এক কেজি বিস্ফোরক ও দুটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম দাবি করেন,পদ্মার চরে ও দেশের উত্তরবঙ্গের যেখানে জনসমাগম কম, বিস্ফোরণের শব্দ হলেও কেউ শুনতে পাবে না এমন স্থানে নতুন সশস্ত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপ’র সদস্যরা প্রশিক্ষণ নিত।

তাদের প্রশিক্ষণের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বরখাস্ত সদস্যদের অর্থের বিনিময়ে রাখা হয়েছিল। ওই দু’জনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এ সব তথ্য বের হয়ে এসেছে বলে দাবি করেন তিনি। মনিরুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বরখাস্ত হওয়া যে সব সদস্যের নাম এসেছে তাদের চিহ্নিত করে যাচাই-বাছাই চলছে। তিনি আরও বলেন, সংগঠনের অর্থদাতা তমাল একজন সরকারি কর্মকর্তার ছেলে।

রাজধানীতে তাদের ১৭টি ফ্ল্যাট-বাড়ি রয়েছে। অস্ত্র বিস্ফোরকসহ সকল টাকা সে যোগান দিত। ডিবির যুগ্ম-কমিশনার বলেন, ৭ জুন ব্যাংক ডাকাতির প্রস্তুতিকালে বনশ্রী এলাকা থেকে ছয়জন এবং সূত্রাপুর এলাকা থেকে আধ্যাত্মিক নেতা নুরুল্লাহ কাসেমীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তিতে জিহাদীদের কাছে বিস্ফোরক বিক্রির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিন ব্যবসায়ীসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ল্যাব সহকারীকে ১৮ জুন গ্রেফতার করা হয়।তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার নতুন সংগঠনটির কমান্ডার আব্দুল্লাহ ও অর্থদাতা তমালকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় বলেও জানান যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম।