Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

খালেদা জিয়ার সাক্ষ্য গ্রহণ, বকশীবাজারে নিরাপত্তা জোরদার

ডিসেম্বর ২৪, ২০১৪, ০৯:৪৬ এএম


খালেদা জিয়ার সাক্ষ্য গ্রহণ, বকশীবাজারে নিরাপত্তা জোরদার

 জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার বিচারে সাক্ষ্য দেবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
বুধবার মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য আছে। রাজধানীর বকশীবাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজের অস্থায়ী আদালতে সকাল ১১টায় এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।

বুধবার খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত থাকবেন মর্মে  জানিয়েছেন তার অন্যতম আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।

মামলা সূত্রে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

২০০৯ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার প্রাক্তন সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান।

 জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার প্রাক্তন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএয়ের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার প্রাক্তন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

 মামলায় হারিছ চৌধুরী শুরু থেকেই পলাতক। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে মামলা দুটিতে অভিযোগ গঠন করা হয়।

উচ্চ আদালতে অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদন খারিজের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এই আদালতে ন্যায়বিচার পাবেন না মর্মে উচ্চ আদালতে বর্তমান আদালত পরিবর্তনের জন্য পুনরায় আবেদন করেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুটি দুর্নীতি মামলার বিচারক পরিবর্তনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন।