ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪, ০৩:১৯ পিএম
সরকার পতনের জন্য নাশকতামূলক কর্মকান্ডে জড়িত থেকে ষড়যন্ত্রে করার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত তুরাগ থানার মামলায় বিএপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়শ্বর চন্দ্র রায়সহ ৪ জনকে ২ দিনের রিমাণ্ড দিয়েছেন আদালত। শাহবাগ থানায় মামলায় ৩ দিনের রিমাণ্ড শেষে মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি’র এসআই মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমাণ্ড চান। আসামি পক্ষে রিমাণ্ড বাতিল করে জামিন চান।
আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সতর্কতা সহিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে ২ দিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মহানগর হাকিম মো. রেজাউল করিম। গয়েশ্বর ছাড়া ও অন্য আসামিরা হলেন-আতিকুর রহমান, মহিউদ্দিন চৌধুরী ও মিজানুর রহমান। রাষ্ট্র পক্ষ থেকে বলা হয়, আসামি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এর নির্দেশে সরকার পতনের আন্দোলনের জন্য ২০ দলীয় কর্মসূচীতে সরকারি/ বেসরকারি যানবাহন ক্ষতি, জনগন ও পুলিশের প্রাণহানির উদ্দেস্যে আত্মঘাতী কার্য পরিচালনার জন্য মহিউদ্দিন চৌধুরীকে নির্দেশ দেন যে, লোহার পাত দিয়ে ৩ কোনা বিশিষ্ট কাটা তৈরির জন্য। যাহা গাড়ি চাকা পানচার হতে পারে। কেন গয়েশ্বর রায় এই নির্দেশ দিয়েছেন তার রহস্য উৎঘাটন এবং আরো কাটা উদ্ধারের জন্য জামিন না দিয়ে ১০ দিনের রিমাণ্ড দেয়া প্রয়োজন।
রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, পিপি আব্দুল্লাহ আবু, অতিরিক্ত পিপি শাহ আলম তালুকদার,কেএম সাজ্জাদুল হক শিহাবসহ আর্ধ শত সরকারি আইনজীবী। আসামি পক্ষে রিমাণ্ড বাতিল করে জামিন দেওয়ার জন্য আইনজীবীরা বলেন, ৩ কোনা কাটা কেবল চোর থেকে সাবধানের জন্য দেওয়ালে দিয়ে থাকে। তা দিয়ে নাশকতা করা যায় না। তুরাগ থানার এ মামলায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কোন ভাবেই জড়িত নয়। তিনি বিএনপি;র স্থায়ী কমিটির সদস্য।
এ মামলার ঘটনা যখন, তখন তিনি শাহবাগ থানার মামলায় আটক হয়ে ডিবি অফিসে ছিলেন। তা হলে কিভাবে নাশকতা মূলক কর্মকান্ড করার জন্য পাত দিয়ে ৩ কোনা বিশিষ্ট তারকাটা তৈরি নির্দেশ দিলেন। এটা হাস্যকর। কারণ তিনি পুলিশের কাছে আটক ছিলেন। একজন বয়ষ্ক ব্যক্তিকে নিয়ে পুলিশ টানা হেচড়া করছেমাত্র। এ ৩ কোনা বিশিষ্ট তারকাটা আদালতে মামলার আই ও দেখালে আইনজীবীরা হেসে উঠেন। আইনজীবীরা তখন বলেন, এই যন্ত্র কেবল মানুষ তার নিজ বাড়ি চোর থেকে সুরক্ষার জন্য দেওয়ালের উপর গেথে রাখে। আদালতের উচিত হবে এ মামলার ঘটনা হাস্যকর মনে করে জামিন দেয়া। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে ৪ জনকে জামিন না দিয়ে ২ দিন করে রিম- মঞ্জুর করেন।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মো.মহসিন মিয়া, মো. সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, খোরশেদ আলম, খোরশেদ মিয়া আলম, মোসলেহ উদ্দিন জসিম, গোলাম মোস্তফা খান, নিতাই রায় চৌধুরী, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ,জিয়া উদ্দিন,জয়নাল আবেদীন মেজহবা, নূরুজ্জামান, হেলাল উদ্দিন আ.হান্নানসহ শাতাধিক আইনজীবী।