জানুয়ারি ৫, ২০১৫, ১২:২২ পিএম
ক্রিকেটার রুবেল হোসনকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়ার জন্য হাই কোর্টে রিট আবেদন করেছেন অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি।
হ্যাপির আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ জানিয়েছেন সোমবার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তারা রিটের জন্য নথি জমা দিয়েছেন।
রিট আবেদনে রুলের পাশাপাশি রুবেলকে জাতীয় দল ও বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ দিতে আদালতের নির্দেশনা চেয়েছেন হ্যাপি, যিনি সম্প্রতি এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক’ অথাৎ ধর্ষণে অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেন।
ওই মামলায় উচ্চাদালত থেকে জামিনে থাকায় রুবেল আসন্ন বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় দলেও ডাক পেয়েছেন। হ্যাপি, রুবেলকে দল থেকে বাদ দেওয়ার পাশাপাশি মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার পাসপোর্ট জব্দ করার আবেদনও করেছেন । রুবেলের হাত থেকে হ্যাপীর ‘জীবন রক্ষায়’ পুলিশি নিরাপত্তা দিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না- তা জানতে রুল চাওয়া হয়েছে ওই আবেদনে। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল ও বিশ্বকাপ দল থেকে রুবেলের নাম বাদ দিতে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না এবং হ্যাপির মামলার তদন্ত ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত রুবেলের পাসপোর্ট কেন জব্দ করতে বলা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে আরেকটি রুল।
ওই রিটে যাদেরকে বিবাদী করা হয়েছে-
স্বরাষ্ট্র সচিব, ক্রীড়া সচিব, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম, ক্রিকেটার রুবেল হোসেন, নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এবং মিরপুর মডেল থানার ওসিকে। আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, হ্যাপী আদালতে এসে এই মামলার এফিডেভিট করেছেন। হ্যাপী গত ১৩ ডিসেম্বর রুবেলের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মিরপুর থানায় মামলা করার পর পুলিশের ব্যবস্থাপনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। ওই পরীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , সম্প্রতি হ্যাপিকে জোর করে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা হয়েছে, এমন কোনো আলামত চিকিৎসকরা পাননি।
অথাৎ সে প্রতিবেদনের নোটে লেখা ছিল, ‘দ্য ভিকটিম হ্যাজ নো ফাউন্ড রিসেন্টলি সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স অন হার বডি।’ হ্যাপী মামলা করার দুই দিন পরই হাই কোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেন। গত ৩১ ডিসেম্বরে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই মো. মাসুদ পারভেজের আবেদনে প্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত রুবেল হোসেনের ডিএনএ পরীক্ষারও অনুমতি দিয়েছেন।