জানুয়ারি ৬, ২০১৫, ০২:০১ পিএম
ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়ার জন্য অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপীর দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট।
বিচারপতি গাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ মঙ্গলবার রিট আবেদনটি খারিজ করেন।
আবেদনটি তিন দফায় শুনানির জন্য উঠলে হ্যাপীর আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ কোনো বারই উপস্থিত না থাকায় আদালত আবেদনটি খারিজ করে দেয় বলে রুবেলের আইনজীবী মনিরুজ্জামান আসাদ জানান।
আইনজীবী বলেন, দিনের প্রথম দিকে অথাৎ ১২টায় আবেদনটি শুনানির জন্য উঠলে হ্যাপীর আইনজীবী আদালতে ছিলেন না। এরপর দুপুর আড়াইটায় ও বিকাল ৪টায় আবেদনটি শুনানির জন্য হ্যাপীর আইনজীবীকে আদালতে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিলেও তিনি না আসায় বিচারকরা তা খারিজ করে দেন। এ বিষয়ে হ্যাপীর আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ বলেছেন, এভাবে রিট আবেদন খারিজ হলে তা পুনরুজ্জীবিত করা যায় । আমরা মামলা পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করব। তারপর আবার শুনানি করব।
রিট আবেদনে রুলের পাশাপাশি রুবেলকে জাতীয় দল ও বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ দিতে আদালতের নির্দেশনা চেয়েছিলেন হ্যাপি, যিনি সম্প্রতি এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক’ অথাৎ ধর্ষণে অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেন।
ওই মামলায় উচ্চাদালত থেকে জামিনে থাকায় রুবেল আসন্ন বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় দলেও ডাক পেয়েছেন। হ্যাপি, রুবেলকে দল থেকে বাদ দেওয়ার পাশাপাশি মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার পাসপোর্ট জব্দ করার আবেদনও করেছেন । রুবেলের হাত থেকে হ্যাপীর ‘জীবন রক্ষায়’ পুলিশি নিরাপত্তা দিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না- তা জানতে রুল চাওয়া হয়েছে ওই আবেদনে।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল ও বিশ্বকাপ দল থেকে রুবেলের নাম বাদ দিতে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না এবং হ্যাপীর মামলার তদন্ত ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত রুবেলের পাসপোর্ট কেন জব্দ করতে বলা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে আরেকটি রুল। ওই রিটে যাদেরকে বিবাদী করা হয়েছে-
স্বরাষ্ট্র সচিব, ক্রীড়া সচিব, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম, ক্রিকেটার রুবেল হোসেন, নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এবং মিরপুর মডেল থানার ওসিকে