Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

ইউল্যাব শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ-হত্যা, ভেজাইন্যাল-রেকটাল সোয়াবের ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১, ০৫:১৫ পিএম


ইউল্যাব শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ-হত্যা, ভেজাইন্যাল-রেকটাল সোয়াবের ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি

রাজধানীর ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ভুক্তভোগীর ভেজাইন্যাল ও রেকটাল সোয়াবের ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওইসময় জব্দকৃত বিছানার চাদরে ধর্ষণের কোনো আলামত আছে কি-না তার ডিএনএ পরীক্ষারও অনুমতি দেয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসির আদালত এ আদেশ দেন। 

রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) মোহাম্মদপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এই তথ্য জানা যায়।

সেই সূত্রে আরও জানা যায়, সম্প্রতি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক সাজেদুল হক ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পৃথক দুইটি আবেদন করেন।

আবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ভুক্তভোগীর ময়না তদন্ত শেষে কর্তব্যরত ডাক্তার তার থেকে ভেজাইন্যাল সোয়াব এবং রেকটাল সোয়াব ডিএনএ প্রোফাইলিং করার জন্য থানায় পাঠান। এমতাবস্থায় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ডাক্তার কর্তৃক ভুক্তভোগী হতে সংগৃহীত হাই ভেজাইন্যাল সোয়াব এবং রেকটাল সোয়াবের ডিএনএ প্রোফাইলিং করার আদেশ ও ক্ষমতাপত্র প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।

অপর একটি আবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, এই ঘটনায় একটি হলাকা গোলাপী রংয়ের সুতী প্রিন্টের বেড শিট (চাদর) জব্দ করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে জব্দকৃত চাদরে ধর্ষণের কোনো আলামত আছে কি-না তার পরীক্ষার আদেশ ও ক্ষমতাপত্র প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আসামি আরাফাতের বাসায় যান। আরাফাতের বাসায় স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান। মদ্যপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিল।

ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে ওই তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত ৩০ জানুয়ারি ওই তরুণী মারা যান। ওইদিন রাজধানীর মোহাম্মদ পুর থানায় নিহত তরুণীর বাবা বাদী হয়ে চারজনসহ অজ্ঞাত আরো একজনের নামে মামলা করেন। আগামী ৪ মার্চ মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য  রয়েছে।

এ মামলার আসামি নুহাত আলম তাফসীর, ফারজানা জামান নেহা ও শাফায়াত জামিল রিমান্ড শেষে কারাগারে আটক রয়েছে। এছাড়া এ মামলায় অপর আসামি মুর্তুজা রায়হান চৌধুরী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আমারসংবাদ/জেডআই