Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

নববধূ হত্যার দায়ে ছয়জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১, ০৩:৫৫ পিএম


নববধূ হত্যার দায়ে ছয়জনের যাবজ্জীবন

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে বিয়ের মাত্র ১৫ দিন পর নববধূ রুবা আক্তারকে (১৮) হত্যার দায়ে দুই চাচা শ্বশুর ও দুই চাচি শাশুড়িসহ মামলার ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

এছাড়া রায়ে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। 

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ছয় আসামি হলেন- করিমগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া মোড়লপাড়া গ্রামের মো. তাহেরের মেয়ে লুৎফা (৩০), মো. সোরাব (৪৫), তার স্ত্রী মোছা. জোসনা (৪০) ও ছেলে মো. শরীফ (২২), মুসলিম (৫৫) ও তার স্ত্রী নূর নাহার বেগম (৪০)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, নিহত রুবা আক্তার এই গ্রামের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে। তার সঙ্গে ২০১১ সালের ১৯ মে তারই চাচাতো ভাই মৃত আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে শামীমের (২২) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। উভয়ের দাদা-দাদির মৃত্যুর আগে ওছিয়ত মোতাবেক দুজনের মধ্যে বিয়েটি হয়েছিল।

কিন্তু এ বিয়ে শামীম ও তার চাচা-চাচিসহ পরিবারের অন্যরা মেনে নিতে পারেনি। এর জেরে আসামিরা আক্রোশে পরস্পর যোগসাজশে একই উদ্দেশে নববধূ রুবা আক্তারকে ২০১১ সালের ৩ জুন দিবাগত রাতে গলাটিপে হত্যা করে লাশ বাড়ির পেছনে ডোবায় ফেলে রাখে।

এ ঘটনায় পরদিন ৪ জুন নিহতের বড় ভাই মো. আল আমিন বাদী হয়ে শামীমসহ সাতজনের নামাল্লেখ করে করিমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্তকালে নিহতের স্বামী শামীমকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) খোন্দকার শওকত জাহান ২০১১ সালের ৩০ ডিসেম্বর তদন্ত শেষে ছয় আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ সোমবার আদালতের বিচারক রায় প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি সৈয়দ শাহজাহান এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট অশোক সরকার মামলাটি পরিচালনা করেন।

আমারসংবাদ/কেএস