নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১, ০৩:৩৫ পিএম
দেশে ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুকে পুনর্বাসন করতে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দিতে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে সরকারকে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেছেন।
স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য এবং নারী ও শিশু বিষয়ক সচিবসহ ১৫ জনকে সাতদিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
চিলড্রেন চ্যারিটি ফাউন্ডেশন নামের একটি মানবাধিকার সংগঠনের করা রিট আবেদনে এ আদেশ দেয়া হয়।
রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন-ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন-ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
‘শিশু মাইশাকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টার পর হত্যা করে ডোবায় ফেলেন প্রতিবেশি।’ ‘তিন বছরেও স্বাভাবিক হতে পারেনি সেই পূজা।’ ‘স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার।’ ধর্ষণের ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এই তিনটি সংযুক্ত করে গত ২ জানুয়ারি এ রিট আবেদন করা হয়।
এই বিষয়ে ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম গণমাধ্যমকে জানান, ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার মধ্যে ৯৭ শতাংশ আসামিই খালাস হয়ে যায়। এই খালাসের কারণ হলো রাষ্ট্র যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, আদালতে মামলা প্রমাণে ব্যর্থতার দায়ভার ভিকটিম কেন নেবে?
তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটির লেখাপড়া, ভবিষ্যত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তারা যাবে কোথায়? তাদের পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সারা পৃথিবীতে ধর্ষণের শিকার ভিকটিমদের পুনর্বাসনের বিধান রয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের সুপ্রিম কোর্ট একটি ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমকে ১০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে। অথচ আমাদের দেশে সে ব্যবস্থা নেই। এ কারণেই রিট আবেদন করা হয়েছে। আদালত রুল দিয়েছে।
তিনি বলেন, আদালতে ধর্ষণের ঘটনা প্রমানিত হোক বা না হোক ভিকটিমকে পুনর্বাসন করতে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দিতে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরির জন্য সরকারের প্রতি রুল জারি করেছেন উচ্চ আদালত।
আমারসংবাদ/এআই