নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১, ০৪:৪৫ পিএম
ঢাকার রাজারবাগ দরবার সব সম্পদের বিষয়ে তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে তাদের কোনো জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কি না- তা তদন্ত করতে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রিটকারীদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো হয়রানিমূলক কি না- সেটি তদন্ত করতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) আট ভুক্তভোগীর রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
রিটকারীদের মধ্যে সাত বছরের শিশু, ভুক্তভোগী নারী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, মাদরাসার শিক্ষক ও ব্যবসায়ী রয়েছেন। তারা হলেন- মো. আব্দুল কাদের, মাহবুবুর রহমান খোকন, ফজলুল করিম, জয়নাল আবেদিন, মো. আলাউদ্দিন, জিন্নাত আলী, আইয়ুবুর হাসান শামীম, নাজমা আক্তার ও নারগিস আক্তার। রিটে আবেদনে বলা হয়, পীর দিল্লুর রহমানের অনুসারীরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচারসহ ফৌজদারি মামলা করে হয়রানি করছে।।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (বিশেষ শাখা), অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপরাধ তদন্ত বিভাগ), ঢাকার জেলা প্রশাসক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপ মহাপরিদর্শক, গোয়েন্দা শাখার যুগ্ম কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, রাজারবাগ দরবার শরীফের পীর দিল্লুর রহমান ও মামলাগুলোর বাদীসহ ২০ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজারবাগের পীর সাহেব ও তার চক্রের দ্বারা দেশব্যাপী দায়েরকৃত গায়েবি মামলার অনুসন্ধানে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। আট ভুক্তভোগীর পক্ষে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির।
আমারসংবাদ/ইএফ