ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক-কর্মচারীদের এমপিও ভুক্তি দিতে রুল জারি 

দেশের সকল ডিগ্রি কলেজের পাস কোর্সের প্রভাষক ও কর্মচারীদের এমপিও ভুক্তির আবেদনের সুযোগ প্রদান ও এমপিও প্রদানের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেইসাথে রুলে স্নাতক (পাস) কলেজ এমপিও ভুক্তির জন্য ন্যূনতম ২টি বিভাগ থাকতে হবে- এমন শর্ত আরোপ করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। 

ডিগ্রি কলেজের ২৯১ জন প্রভাষক ও কর্মচারীর দায়ের করা পৃথক ৩টি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

এইকসঙ্গে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ), মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি)সহ সংশ্লিষ্ট ৪ জনকে এ নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ্যাডভোকেট বিপুল বাগমার।

শুনানি শেষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিগ্রি কলেজের (পাস) কোর্সে কর্মরত প্রভাষক ও কর্মচারীদের এমপিও ভুক্তির আবেদনের ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ প্রণয় করে উক্ত নীতিমালার পরিশিষ্ট খ এর পাদটীকা অনুসারে স্নাতক (পাস) কলেজ এমপিও ভুক্তির জন্য নূন্যতম ২টি বিভাগ চলমান থাকতে হবে। যেহেতু রিটকারিদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি বিভাগ চালু রয়েছে তাই তারা দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার পরও এমপিও ভুক্তির আবেদন করতে পারেন নাই। 

অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আরও বলেন এমপিও ভুক্তির আবেদন করা রীটকারিদের আইনগত অধিকার কিন্তু উপরোক্ত শর্তের কারণে তারা উক্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। যাহা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন। যদিও পূর্বের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৩ ও ২০১৮ এ উক্ত নিষেধাজ্ঞা ছিল না এবং জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৩ ও ২০১৮ অনুসারে ডিগ্রি কলেজের (পাস) কোর্সে কর্মরত রীটকারিদের ন্যায় প্রভাষক ও কর্মচারীগণ এমপিও তালিকায় অন্তভুক্ত হয়ে সকল সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছেন কিন্তু রীটকারীগণকে বঞ্চিত করা হয়েছে তাই আবেদনকারীগণ উপরোক্ত নির্দেশনা চেয়ে রিট পিটিশনটি দায়ের করেন।

রিট আবেদনকারীরা হলেন- (১) মো. নুর আলম ছিদ্দিক, (২) মৃনাল কান্তি রায়, (৩) মো. হারুন অর রশিদ, (৪) মো. এমরানুল হাসান, (৫) মো. ওসমান গনি (৬) মো. জিলহক, (৭) মো. মনিরুল ইসলাম, (৮) সুকদেব সরকার, (৯) মো. খলিলুর রহমানসহ বিভিন্ন জেলার ২৯১ জন।

আমারসংবাদ/এমএস