ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৫, ১১:৫৫ এএম
অনেক সময় দেহের ভেতরে বাইরের কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়াই রোগ সৃষ্টি হতে পারে। দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা কোনো নির্দোষ বস্তুকে ক্ষতিকর বলে মনে করে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে। এমন ধরনের ‘অটোইমিউন’ রোগ বিষয়ে সাতটি তথ্য থাকছে এ লেখায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হাফিংটন পোস্ট।
১. দেহ যখন নিজের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করে
আমাদের রয়েছে রোগপ্রতিরোধক ব্যবস্থা। আর এ ব্যবস্থায় বিভিন্ন জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অস্ত্র রয়েছে। সাধারণত দেহের ভেতরের অংশগুলোকে চিনতে কোনো সমস্যা হয় না এ ব্যবস্থার। কিন্তু কখনো কখনো নিজের দেহের কোনো অংশকেও শত্রু বলে মনে করতে পারে এ ব্যবস্থা। ফলে সৃষ্টি হতে পারে এমন রোগের।
২. ৮০ বা তারও বেশি এমন রোগ রয়েছে
দেহের ‘অটোইমিউন’ রোগের সংখ্যা মোটেই কম নয়। জানা যায় ৮০ বা তারও বেশি এমন রোগ রয়েছে।
৩. ‘অটোইমিউন’ রোগ সাধারণ বিষয়
এ রোগে প্রচুর মানুষকে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। মার্কিনিদের মধ্যে প্রায় ২৩ মিলিয়ন এ রোগে আক্রান্ত বলে জানা যায়।
৪. এগুলো জেনেটিক নয়
বংশানুক্রমিকভাবে এ রোগগুলো ছড়ায় না। ফলে পরিবারের কারো থাকলে যে অন্যদেরও হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই।
৫. অ্যালার্জি এর অন্তর্ভুক্ত নয়
‘অটোইমিউন’ রোগের সঙ্গে অ্যালার্জির লক্ষণের মিল রয়েছে। কিন্তু এটি অ্যালার্জির সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না।
৬. দীর্ঘদিন চিকিৎসা প্রয়োজন
এ ধরনের রোগে সাধারণত নানা জটিলতা দেখা যায়। ফলে ‘অটোইমিউন’ রোগের চিকিৎসায় সাধারণ বহু বছর ব্যয় হয়।
৭. ক্রনিক অবসাদ এ রোগ নয়
ক্রনিক অবসাদ ও ফাইব্রোমেলজিয়া এ রোগের লক্ষণের সঙ্গে অনেকখানি মিলে যায়। কিন্তু এগুলো মোটেই ‘অটোইমিউন’ রোগ নয়।