Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

সিজারের সিদ্ধান্তে লিপইয়ার

ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০, ১০:৪২ এএম


সিজারের সিদ্ধান্তে লিপইয়ার

জোতির্বিজ্ঞানে বছরের সময়কাল ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড, অথচ প্রচলিত গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি মতে, বছর হিসাব করা হয় ৩৬৫ দিনে। এভাবে প্রতি বছর প্রায় ছয় ঘণ্টা সময় গোনার বাইরেই থেকে যায়। চার বছরে সেটা প্রায় ২৪ ঘণ্টা বা একদিনের সমান হয়।

ওই ঘাটতি পূরণের জন্য প্রতি চার বছর পরপর ফেব্রুয়ারি মাসে অতিরিক্ত একদিন যোগ করে ৩৬৬ দিনে বছর হিসাব করা হয়। আর সেই বছরটিকেই বলা হয় লিপইয়ার। আমাদের মাঝে উপস্থিত ২০২০ সাল বছরটি এবারে লিপইয়ার বছর। এই লিপইয়ার নিয়ে লিখেছেন— জিয়া উল ইসলাম

গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চার বছর পরপর ফেব্রুয়ারি মাসে অতিরিক্ত একটি দিন যোগ করে আমরা তাকে অধিবর্ষ বা লিপইয়ার বলি। এর কারণ হিসেবে রয়েছে সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর ঘোরার সময়কাল। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক। আমরা হিসাব করি ৩৬৫ দিনে এক বছর। অর্থাৎ পৃথিবী সূর্যের চার দিকে একবার ঘুরে আসে ৩৬৫ দিনে।

কিন্তু বছরের প্রকৃত দৈর্ঘ্য হলো ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড, অর্থাৎ পৃথিবীর এই সময়টুকু লাগে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে। তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রতি বছর আমরা ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড সময় পিছিয়ে যাচ্ছি হিসাবে না ধরার দরুন।

ফলে চার বছর পরে এই বাদ যাওয়া সময়টুকু প্রায় ২৪ ঘণ্টায় পরিণত হয় আর সেই ২৪ ঘণ্টাকে সমন্বয় করার জন্যই লিপইয়ারের আবিষ্কার। বছরের প্রকৃত দৈর্ঘ্য হলো ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড। কিন্তু অতীতে এটি জানা ছিলো না। এতে অতীতে ফসল তোলার সময়সহ নানা কার্যক্রম নির্ধারণে বছরের কোনো ধারাবাহিকতা থাকতো না।

এ সমস্যাটি প্রাচীন মিসরীয়রা ধরতে পারে। এ কারণে তারা বছরের শেষে কয়েক দিন উৎসব করা শুরু করে। যদিও এতে সমস্যা দূর হয়নি। রোমানরা এ সমস্যা মোকাবিলায় প্রতি বছরই অনিয়মিতভাবে দিন যোগ-বিয়োগ করতে থাকে।

ফলে মূল বিষয়টি সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ১২টি মাসের বদলে, সেখানে উপস্থিতি ছিলো মাত্র ১০টি মাসের। এর মধ্যে ছয়টি মাস ছিলো ৩০ দিনের, আর চারটি মাস ছিলো ৩১ দিনের।

অর্থাৎ, সব মিলিয়ে এক বছর সম্পন্ন হতো মাত্র ৩০৪ দিনেই।কিন্তু এক বছর সমান যদি মাত্র ৩০৪ দিন হয়, তাহলে তো গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জিতে বছরের আকৃতি সাধারণ চন্দ্রবর্ষের থেকে অনেকটাই ছোট হয়ে যায়।

সে ক্ষেত্রে দিন-তারিখ গণনার যে মূল লক্ষ্য ছিলো, তা-ও অর্জন হয় না। তাই খ্রিস্টপূর্ব ৭৫০ অব্দের দিকে রোমের দ্বিতীয় রাজা নুমা পম্পিলিয়াস ক্ষমতায় আসীনের পর সিদ্ধান্ত নেন, সাধারণ চন্দ্রবর্ষ ও গ্রেগরীয় বর্ষের মধ্যে একটি সমন্বয় সাধন করবেন, ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করবেন। কিন্তু তখন আবার নতুন একটি সমস্যা হাজির হয়। রাজা ছিলেন অতিমাত্রায় কুসংস্কারে বিশ্বাসী।

আর তখনকার দিনে রোমের একটি খুবই প্রচলিত কুসংস্কার ছিলো এই যে, জোড় সংখ্যা অমঙ্গল বয়ে আনতে পারে। তাই তিনি প্রতিটি ৩০ দিনের মাস থেকে একটি দিন বাদ দিয়ে, সেগুলোকে ২৯ দিনের মাসে পরিণত করেন। ফলে আগের ১০ মাসের বছরে দিনসংখ্যা ৩০৪ থেকে কমে হয় ২৯৮। এদিকে চন্দ্রবর্ষ সম্পন্ন হয় ৩৫৪.৩৬৭ দিনে। তাই রাজা চাইলে নতুন বর্ষপঞ্জি ৩৫৪ দিনে রাখতে পারতেন।

কিন্তু তাহলে তো আবার জোড় সংখ্যা চলে আসে। তাই তিনি ঠিক করেন, এক বছরে মোট ৩৫৫ দিন রাখবেন। এ জন্য পূর্ব-প্রচলিত ১০ মাসের বছরের সাথে তাকে আরো ৫৭ দিন যোগ করতে হতো। ফলে তিনি নতুন দুটি মাস যোগ করেন— জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি, যা ডিসেম্বরের পরে আসবে।

কিন্তু এবার তাকে একটি সমঝোতায় আসতেই হয়। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসকে তো সমান ২৮.৫ দিন করে দেয়া যেতো না। ৫৭ যেহেতু একটি বেজোড় সংখ্যা, তাই একটি জোড় পূর্ণসংখ্যা এবং একটি বেজোড় পূর্ণসংখ্যা যোগ করেই এটিকে আনতে হবে।

তাই নিতান্ত বাধ্য হয়েই, জানুয়ারি মাসকে ২৯ দিনের বানিয়ে, ফেব্রুয়ারি মাসকে ২৮ দিনের করেন তিনি। ফেব্রুয়ারি মাসকে জোড় সংখ্যার দুর্ভাগা মাস বানানোর পেছনে আরো একটি কারণও ছিলো। তা হলো— রোমানরা সিদ্ধান্ত নেয়, সুদূর অতীত থেকে বসন্তকালের শুরুর দিকে মৃত আত্মাদের প্রতি সম্মানার্থে যে শুদ্ধিকরণ উৎসবের আয়োজন করা হতো, তা এখন থেকে তারা ফেব্রুয়ারি মাসে পালন করবে।

এসময় বাড়িঘর, রাস্তা-ঘাট সব পরিষ্কার করা হবে। এই শোধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষের আত্মা এবং মনেরও এক ধরনের শুদ্ধিকরণ হবে। পাশাপাশি রোমানরা দুর্ভাগ্য বিমোচনের জন্য বিশেষ শুদ্ধিকরণ আচার-অনুষ্ঠানও পালন করবে। এমন চিন্তা থেকেই মাসটির নাম রাখা হয় ফেব্রুয়ারি, যার উৎপত্তি ভবনৎঁধৎব শব্দটি থেকে। প্রাচীন স্যাবাইন উপজাতিদের থেকে উদ্ভূত এই শব্দটির অর্থ হলো শুদ্ধিকরণ।

অর্থাৎ রোমানদের মনে আশা ছিলো, শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ায় তারা জোড় সংখ্যার মাসটিকে দুর্ভাগ্যের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে। যা-ই হোক, এত জটিলতার মাধ্যমে গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জিকে চন্দ্রবর্ষের আদলে সংস্কার করার পরও কিন্তু ঝামেলা মিটলো না। কারণ কয়েক বছর চন্দ্রচক্র বেশ ভালোভাবেই কাজ করে।

কিন্তু তারপরই সাধারণ মাসের সাথে বিভিন্ন মৌসুমের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এই সমস্যা দূর করতে রোমানরা নতুন এক বুদ্ধি বের করলো। মার্সিডোনিয়াস নামে একটি অধিমাস (লিপ মান্থ) নিয়ে এলো তারা। ২৭ দিনের এই মাসটি কয়েক বছর পর পর ২৩ ফেব্রুয়ারির পর শুরু হবে।

কিন্তু কবে, কোন বছর মার্সিডোনিয়াস মাসটির আবির্ভাব ঘটবে, তা জানতেন কেবল রোমের উচ্চশ্রেণির যাজকরা। সাধারণ মানুষের পক্ষে তাই দিন-কালের হিসাব রাখার কোনো সুযোগই ছিলো না। যাজকরা তাদেরকে আগে থেকে অধিমাসটির আগমনের বিষয়ে জানতেও দিতেন না। নিজেদের সুযোগ-সুবিধা অনুযায়ী, এবং স্বীয় স্বার্থোদ্ধারের জন্য হঠাৎ হঠাৎ তারা এই অধিমাসের ঘোষণা দিয়ে বসতেন।

অবশেষে এই সমস্যার সমাধান হয় জুলিয়াস সিজারের হাত ধরে। খ্রিস্টপূর্ব ৪৫ সালের দিকে ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি বর্ষগণনায় উদ্ভূত সমস্যার প্রধান কারণ হিসেবে চন্দ্রচক্রকে চিহ্নিত করেন।

তিনি সিদ্ধান্ত নেন, এখন থেকে চন্দ্রচক্র মেনে নয়, সূর্যের বার্ষিক গতির সাথে তাল মিলিয়ে ৩৬৫ দিনে এক বছর হবে। সে অনুযায়ী তিনি বছরের বিভিন্ন মাসের দিনসংখ্যা পরিবর্তন করে বাড়িয়ে দেন। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে, ফেব্রুয়ারি মাসটিকে তিনি ২৮ দিনেই রেখে দেন। কেবল অধিবর্ষে মাসটি ২৯ দিনের হতে থাকে।

২৯ ফেব্রুয়ারিতে জম্ম শিশুরা জম্মদিন পালন যেভাবে করে

যেসব শিশুদের জন্ম ২৯ ফেব্রুয়ারিতে তাদেরকে লিপার বা লিপ্লিং বলা হয়। এসকল শিশুরা তাদের প্রকৃত জন্মদিন চার বছর পরপর পালন করতে পারে এবং সাধারণ বছরগুলোতে ২৮ ফেব্রুয়ারি অথবা ১ মার্চ তারা জন্মদিন পালন করে। কিছু দেশে তাদের সম্পর্কে নীতি নির্ধারণ করে দিয়েছে।

চীনে ১০ অক্টোবর ১৯২৯ সাল থেকে সিভিল কোড অনুযায়ী একজন লিপ্লিং এর আইনগত জন্মদিন সাধারণ বছরগুলোতে ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ১৯৯০ সাল থেকে হংকং এ একজন লিপ্লিংয়ের সাধারণ বছরগুলোর জন্য জন্মদিন ১ মার্চ নির্ধারিত।

এই সব শিশুদেরকে লিপার বা লিপ্লিং বলা হয়। এসকল শিশুরা তাদের প্রকৃত জন্মদিন চার বছর পরপর পালন করতে পারে এবং সাধারণ বছরগুলোতে ২৮ ফেব্রুয়ারি অথবা ১ মার্চ তারা জন্মদিন পালন করে।

ধর্মীয় কারণে বাংলা সনে অনেকে লিপইয়ার অনুসরণ করেন না
সম্রাট আকবর কর্তৃক প্রবর্তিত করা হয় বাংলা বর্ষপঞ্জি। তাতে লিপইয়ার বা অধিবর্ষের ধারণা দেখা যায় না। পরবর্তিতে বাংলাদেশে বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রস্তুত নতুন বর্ষপঞ্জি মতে, বাংলা বর্ষপঞ্জিতেও গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসরণে ফেব্রুয়ারি মাসের সমসাময়িক বাংলা মাসে, সাধারণত ফাল্গুন মাসে, প্রতি চার বছর পর পর একবার অতিরিক্ত একটি দিন গণনা করা হয়।

তবে ভারতে ও বাংলাদেশের হিন্দুরা ধর্মীয় কারণে এই রীতি অনুসরণ করেন না। সনাতনী বাংলা বর্ষপঞ্জিতে অধিবর্ষ একটু জটিল নিয়মে আসে। এক্ষেত্রে সাল থেকে ৭ বিয়োগ করে ৩৯ দিয়ে ভাগ করতে হয়। যদি ভাগশেষ শূন্য বা চার দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য হয় তবে ওই সালকে অধিবর্ষ ধরা হয়।

আর অধিবর্ষের অতিরিক্ত এক দিন চৈত্র মাসে যোগ হয়। এই হিসাব অনুযায়ী প্রতি ৩৯ বছরে ১০টি অধিবর্ষ আসে, যেটা জোতির্বিজ্ঞান বর্ষপঞ্জির সাথে যথেষ্ট সামাঞ্জস্যপূর্ণ। তবে অতি লম্বা সময় ধরে এই নিয়ম অনুসরণ করে গেলে সম্ভবত সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে।

ইসলামি ক্যালেন্ডারে নেই লিপদিন
ইসলামি ক্যালেন্ডারের পরিমার্জিত ও গণনাকৃত সংস্করণগুলিতে নিয়মিত লিপ দিন নেই, যদিও উভয়ই চন্দ্র মাসের ২৯ বা ৩০ দিন ধারণ করে, সাধারণত বিকল্প ক্রমানুসারে। যাই হোক, মধ্যযুগে ইসলামিক জ্যোতির্বিদদের দ্বারা ব্যবহূত ট্যাবুলার ইসলামি ক্যালেন্ডার এবং এখনো কিছু মুসলমানদের দ্বারা ব্যবহূত একটি ৩০ বছরের চক্রের ১১ বছরের মধ্যে চন্দ্র বছরের শেষ মাসে একটি নিয়মিত লিপ দিন যোগ করা হয়। এই অতিরিক্ত দিন গত মাসের শেষে পাওয়া যায়, ধু-ল-হিজা, যা হজ মাসেরও।

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জিতে লিপইয়ার

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ৪ দিয়ে বিভাজ্য বছরগুলোকে অধিবর্ষ বা লিপইয়ার বলা হয়। যেমন— ২০২০ সাল একটি অধিবর্ষ। তবে এই নিয়মের ব্যতিক্রমও আছে। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরতে একদম নিখুঁতভাবে ৩৬৫.২৫ দিন সময় নেয় না, একটু কম নেয়। তাই দেখা গেছে যে চার বছর পর পর অধিবর্ষ ধরলে প্রতি চারশ বছরে তিন দিন সময় বেশি ধরা হয়ে যায়।

এই সমস্যার সমাধানের জন্য যেসব বছর ১০০ দ্বারা বিভাজ্য, কিন্তু ৪০০ দ্বারা নয় তাদের লিপইয়ার বা অধিবর্ষের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। যেমন— ৪ দ্বারা বিভাজ্য হওয়া সত্ত্বেও ১৯০০ সাল অধিবর্ষ নয়। কারণ এটি ১০০ দ্বারা বিভাজ্য কিন্তু ৪০০ দ্বারা নয়।

১৭১২ সালে ফেব্রুয়ারি ৩০ দিনে হয়েছিল
ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনে, কিংবা সর্বোচ্চ ২৯ দিনে হলেও, কয়েকবার কিন্তু ৩০ ফেব্রুয়ারি তারিখটিরও আবির্ভাব ঘটেছিল। সর্বপ্রথম এই বিস্ময়কর ঘটনাটি ঘটেছিল সুইডেনে। সেখানকার ১৭১২ সালের বর্ষপঞ্জিতে ৩০ ফেব্রুয়ারি তারিখটি ছিলো। ফিনল্যান্ডের অন্তর্ভুক্ত থাকাকালীন সুইডিশ সাম্রাজ্যে জুলিয়ান বর্ষপঞ্জি ব্যবহূত হতো।

কিন্তু ১৭০০ সাল থেকে তারা গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি ব্যবহার শুরু করে, এবং পরবর্তী ৪০ বছরের জন্য অধিবর্ষ বাতিলের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, তারা ১৭০০ সালের অধিবর্ষের দিনটি বাদ দেয় বটে, কিন্তু পরের বছরই গ্রেট নর্দার্ন যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে, সুইডিশদের পক্ষে আর সাধারণ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি নিজেদের মতো করে পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি।

তাই বাকি বিশ্বের মতো তারাও ১৭০৪ ও ১৭০৮ এই দুই বছর অধিবর্ষে ২৯ দিনের ফেব্রুয়ারি মাস পালন করে। ১৭৫৩ সালে শেষবারের মতো সুইডিশরা জুলিয়ান বর্ষপঞ্জি থেকে গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জিতে চলে আসে। তখন দিন তারিখের হিসাব ঠিক করতে তাদেরকে ১১টি দিন বাদ দিতে হয়েছিল।

১৭ ফেব্রুয়ারির পরদিনই আগমন এ ছাড়া ১৯৩০ ও ১৯৩১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নেও ৩০ দিনের ফেব্রুয়ারি মাস পালিত হয়েছিল। তাদের লক্ষ্য ছিলো সাত দিনের সপ্তাহকে কমিয়ে পাঁচ দিন করা এবং প্রতিটি কর্ম-মাসকেই ৩০ কর্মদিবসে পরিণত করা। মাসের বাকি দিনগুলো হবে ‘কর্মহীন দিবস’। তবে তাদের এই উদ্যোগ পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিল। ফলে ১৯৪০ সালে আবার সাত দিনের সপ্তাহ ফিরিয়ে এনেছিল তারা।

আমারসংবাদ/এসটিএমএ