Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪,

যে জীবগুলো ছাড়া পৃথিবী অচল

আমার সংবাদ ডেস্ক

মার্চ ১১, ২০২০, ১১:২৬ এএম


যে জীবগুলো ছাড়া পৃথিবী অচল

 

পৃথিবীতে প্রতিটি জীবই বিশেষ কিছু ভূমিকা পালন করে৷ কিন্তু গ্রহে জীবন টিকিয়ে রাখতে কিছু প্রজাতির গুরুত্ব অন্যদের চেয়ে বেশি৷

মৌমাছি: রয়াল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটি মৌমাছিকে পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী বলে ঘোষণা দিয়েছিল৷ বাস্তুসংস্থান টিকিয়ে রাখতে দারুণ ভূমিকা রাখে এই প্রাণী৷ ফুলে ফুলে ঘুরে ঘুরে পরাগায়নের মাধ্যমে এবং নতুন জায়গায় বীজ ছড়ানোর মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্ভিদ প্রজাতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে মৌমাছি৷ এমনকি আমরা যেসব শস্য খাই, সেগুলোর অনেকটিই মৌমাছির ওপর নির্ভরশীল৷

পিঁপড়া: অনেকসময় আমরা পিঁপড়াকে ক্ষতিকর বলে বিবেচনা করি৷ কিন্তু এরা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা জানিও না৷ অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া পৃথিবীর সব মহাদেশেই রয়েছে এই প্রাণী৷ মাটিতে পুষ্টি ছড়িয়ে দেয়া, বীজ ছড়ানো এবং অন্য প্রাণীর মরদেহ খেয়ে পরিবেশ রক্ষা করার মতো কাজ করে এ প্রাণী৷ জলবায়ু পরিবর্তনে পিঁপড়ার বাসস্থানে কী প্রভাব পড়ছে তা নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা৷

ছত্রাক: উদ্ভিদ নাকি প্রাণী, জীবাণু নাকি প্রোটোজোয়া, ছত্রাক নিয়ে প্রায়ই এমন দ্বিধায় ভোগেন বিজ্ঞানীরা৷ এজন্য একে কখনও কখনও ‘পৃথিবীর জীবনের পঞ্চম বিশ্ব’ হিসেবেও বর্ণনা করা হয়৷ পানিতে, মাটিতে, এমনকি বাতাসেও এদের উপস্থিতি দেখা যায়৷ ছত্রাক অনেকটা প্রাকৃতিক পুষ্টি পুনর্ব্যবহারকারী হিসাবে কাজ করে৷ ছত্রাকের কিছু প্রজাতি পারদ জাতীয় ক্ষতিকারক ধাতুও শোষণ করতে পারে, অনেক প্রজাতি এমনকি প্লাস্টিকও হজম করতে পারে৷

ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন: এই অণুজীবগুলি পৃথিবীর জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝানো বেশ সহজ৷ গ্রহের বায়ুমণ্ডলীয় অক্সিজেনের অর্ধেকের বেশি উৎপাদন করে ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন৷ সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রের খাদ্য শৃঙ্খলার ভিত্তিও এই অণুজীব৷

বাদুড়: কলা, বাওবাব গাছ আর টাকিলা- এই তিনটির মধ্যে কোনো মিল খুঁজে পান? এই সবকটিই পরাগায়ন এবং কীটের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য বাদুড়ের উপর নির্ভরশীল৷ একেক প্রজাতির বাদুড় একেকটি ফসলের ফলন অব্যাহত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ প্রতি বছর পোকা খেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে কীট দমন করে বাদুড়, ফলে বেঁচে যায় কয়েক মিলিয়ন ডলার৷ শক্তিশালী বাস্তুতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি এই প্রাণী৷

কেঁচো: এই প্রাণীকে অনেকে বাস্তুতন্ত্রের প্রকৌশলী হিসেবেও অভিহিত করেন৷ মাটি খুঁড়ে চলাচলের মাধ্যমে প্রাকৃতিক হালচাষের কাজ করে এ প্রাণী৷ তবে সঠিক পরিবেশের অভাবে বর্তমানে বেশ হুমকির মধ্যে রয়েছে এ প্রাণী৷

প্রাইমেট: প্রাণীজগতে মানুষের সবচেয়ে নিকট আত্মীয় এই প্রাইমেটরা৷ গ্রীষ্মমণ্ডলের নানা বনাঞ্চলে নানা উদ্ভিদের বীজ ছড়িয়ে দিয়ে প্রাকৃতিক বনায়নে সহায়তা করে প্রাইমেট৷

প্রবাল: প্রবালকে সমুদ্রের রেনফরেস্ট বলে আখ্যা দেয়া হয়৷ উপকূল রক্ষা, নতুন নতুন ভূমি গড়ে তুলে নতুন বাস্তুসংস্থান তৈরি করা, এমন নানা ভূমিকা পালন করে প্রবাল৷ মোট সামুদ্রিক জীবের চার ভাগের এক ভাগ খাবারের জন্য নানাভাবে প্রবালের ওপর নির্ভর করে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের৷

আ্মারসংবাদ/জেআই