Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

হাসির যত উপকারিতা

মার্চ ১৭, ২০১৫, ০৭:৫৮ এএম


হাসির যত উপকারিতা

 

হাসি একটি প্রাকৃতিক ওষুধ, এটি আমাদের আবেগকে সহজেই স্পর্শ করে ও সেটি প্রকাশ করে। হাসি এমন একটা বিষয় যা কিনা সংক্রামিত হয়; ধরুন আপনি হাসছেন প্রাণ খুলে, এই হাসি দেখে অন্যের মুখে হাসি ফুটবে না এটা হতেই পারে না! হাসি তাৎক্ষণিকভাবেই অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে সক্ষম।
 
হাসির এই তাৎক্ষণিক উপকারিতার পাশাপাশি রয়েছে কিছু দীর্ঘমেয়াদি উপকারও। স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক সান্দ্রা কর্নব্ল্যাট গবেষণা করে বের করেছেন হাসি কিভাবে আপনাকে ভালো থাকতে সাহায্য করবে এবং এর নানা উপকারিতা। ২০০৯ সালে কোনারি প্রেস থেকে প্রকাশিত 'অ্যা বেটার ব্রেইন এট এনি এজ: দ্য হলিস্টিক ওয়ে টু ইমপ্রুভ ইওর মেমরি, রিডিউস স্ট্রেস, অ্যান্ড সার্পেন ইওর উইটস' বইয়ে সেগুলো তুলে ধরেছেন তিনি।
 
রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি ও রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ায়, শরীরের ডায়াফ্রাম, পেট, শ্বাসপ্রশ্বাস, ত্বক ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের পেশির কার্যক্ষমতা বাড়ায়, শরীরের হতাশাজনিত হরমোন যেমন- করটিসোল, এড্রেনালিন কমাতে সাহায্য করে; টিউমার ও অন্যান্য রোগ ধ্বংসকারী কোষগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়ায়, যেমন- গাম্মা-ইন্টারফেরন এবং টি-সেল; পড়াশোনা বা কাজের ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং সৃজনশীলতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
 
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের 'হাস্যরস বিশারদ' উইলিয়াম ফ্রাই জানান, হাস্যরস এবং সৃজনশীলতা একইরকমভাবে মস্তিষ্ককে আন্দোলিত করে। এই দুটো বিষয়ের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে পুরো মস্তিষ্ককে কাজে লাগানো সম্ভব। হাস্যরস খুব দ্রত মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলতে পারে। মজার কিছু ঘটা বা দেখার পর সেকেন্ডের অর্ধেকেরও কম সময়ের মধ্যে এই সংকেত মস্তিষ্কে পৌঁছায়। এতে আপনি আনন্দিত হন, খুশি হন। তাই হাসুন, প্রাণ খুলে হাসুন। যেভাবে আপনার ভালো লাগে সেভাবেই হাসুন। মজার ছবি দেখতে পারেন, শুনতে পারেন কৌতুক। যত হাসবেন তত ভালো থাকবেন।