মার্চ ২৩, ২০১৫, ০৮:৩৩ এএম
বিট্রিশ রাজা ‘রিচার্ড থ্রি’ যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হয়েছিলেন আজ থেকে ৫৩০ বছর আগে, ১৪৮৫ সালে। তখন অন্য সবার সাথে অবহেলায় স্তুপাকারে ফেলে রাখা হয়েছিল তার লাশ। রাষ্ট্রীয় মর্যাদার মতো বিশেষ সম্মান তো দূরের কথা, রীতিনীতি মেনে দাফনটুকুও ভাগ্যে জুটেনি। তবে তখন না পেলে হলে কী হবে, মৃত্যুর পাঁচ শতাব্দি পর তো ঠিকই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাধিস্থ হচ্ছেন রিচার্ড থ্রি!
সোমবার ইংল্যান্ডে লেইসিস্টার কেথড্রালের সামনে তার দেহাবশেষ রাখা হয়েছে সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। তার আগে যেখানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন সেখানে কামান দাগিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সব কিছু শেষে বৃহস্পতিবার একই কেথড্রালের পাশে সমাধিস্থ করা হবে তার দেহাবশেষ।
মূল ঘটনা বছর তিনেক আগের। ২০১২ সালে যুক্তরাজ্যে একটি গাড়ি পার্কিংয়ের নিচে খুড়তে গিয়ে প্রত্মতত্ত্ববিদরা পান একটি লাশে কংকাল এবং অন্যান্য দেহাবশেষ। তারপর অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে, বহুজনের ডিএনএ টেস্ট করে ধরা পড়ে দেহাবশেষ হচ্ছে ইংল্যান্ডে মধ্যযুগীয় রাজা রিচার্ড থ্রি’র।
এরপর ইতিহাস ঘেঁটে বের করা হয় বাকি তথ্য। দেহাবশেষের ফরেনসিক টেস্ট এবং ইতিহাসের তথ্য মিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা রাজার শেষ পরিণতি সম্পের্ক নিশ্চিত হন।
এরপরই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তাকে যথাযথ মর্যাদায় নতুন করে সমাহিত করা হবে।
প্রত্মতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে তাকে হত্যার পর লাশ আবর্জনার স্তূপে ফেলে দেয়া হয়। মধ্যযুগের এই বিট্রিশ রাজাকে ১৪৮৫ সালে সেন্ট্রাল ইংল্যান্ডে বোস্টওর্থ’র যুদ্ধক্ষেত্রে হত্যার পর মরদেহ সেখানে ফেলা রাখা হয়।
রাজার দেহাবশেষ সনাক্ত করতে তার বংশধরদের মধ্যে মিখাইল ইবসেন নামে বর্তমানে কানাডার এক নাগরিক এক ব্যক্তির ডিএনএ সাহায্য করেছে। সোমবার প্রথম জনসমক্ষে আনা রাজার কফিনের ডিজাইনও তিনিই করেছেন।
‘রিচার্ড থ্রি সোসাইটি’ ৯০ বছর আগে একটি সংগঠন গঠিত হয়। এখন সারাবিশ্বে সংগঠনটির কয়েক হাজার সমর্থক রয়েছে।সূত্র: বিবিসি।