Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

রাত জেগে থাকার যত কুফল

আগস্ট ১২, ২০২১, ০২:৫৫ পিএম


রাত জেগে থাকার যত কুফল

দিন দিন তরুণদের মাঝে রাত জেগে থাকার প্রবণতা মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে আমাদের সমাজে। বর্তমান প্রজন্ম প্রযুক্তি নির্ভর। কেউ রাত জেগে চ্যাটিংয়ে ব্যস্ত, কেউ বা ব্যস্ত ফোনকলে, আবার কেউ সারারাত সিনেমা-সিরিজ নিয়ে না ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিচ্ছেন। 

চলুন জেনে নেয়া যাক রাত জাগার মারাত্মক কিছু কুফল সম্পর্কে:- 

চোখের নিচের অংশে কালো দাগ স্থায়ী ভাবে বসে যেতে পারে, ব্রণ মুখের উপর অংশে জড়িয়ে পড়তে পারে। আর এই সময়ে পানি না খাওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠে। মানবদেহে পানি হ্রাস থাকলে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে আপনার সুন্দরতম দেহটি।

২০১৪ সালের একটি স্টাডিতে দেখা গেছে, অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা না ঘুমালে ৩০% লোকের ক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। জেগে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুধার পরিমাণ বেড়ে যায় এবং সেটা নিবারণ করতে গিয়ে ওজন বেড়ে গিয়ে কোলেস্টেরল ও বেড়ে যায় যা কিনা হার্টের ক্ষতির ও কারণ।

উচ্চরক্তচাপ থেকে হার্টে প্রভাব খুবই প্রচলিত সমস্যা। হার্টের সাথে ঘুমের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে পরিমিত না ঘুমালে ধীরে ধীরে হার্টের কার্যক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে এবং হার্ট এটাকের সম্ভাবনা ও বেড়ে যেতে পারে। 

রাত জাগার সাথে সরাসরি হরমোনের তারতম্য জড়িত। না ঘুমালে স্ট্রেস হরমন বৃদ্ধি পায় যার কারণে ত্বকের কোলাজেন ভাঙতে শুরু করে এবং পর্যাপ্ত স্কিন কেয়ার সত্ত্বেও অল্প বয়সেই চেহারায় মলিনতা, বয়সের ছাপ, বলিরেখা, এসব দেখা দিতে পারে যা মোটেই সুখকর নয়।

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, টানা কয়েক মাস রাতে ঠিক মতো ঘুম না হলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু অংশ এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়ে যে ঠিক মতো কাজ করে উঠতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কম সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। উপস্থিত বুদ্ধি ও লোপ পেতে থাকে।

দিনের পর দিন রাতে না ঘুমাল দেহের স্বাভাবিক ছন্দপতন হয়। উচ্চরক্তচাপ বেড়ে, ব্রেইন এর রিজুভিনেটিং পাওয়ার কমে গিয়ে এনজাইটি, ডিপ্রেশন এর উৎপত্তি হতে পারে। কিছু গবেষণায় রাত জাগা মানুষের আত্মহত্যার মত মারাত্মক সিদ্বান্ত ও নিতে দেখা গেছে।

২০১২ সালে আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠানে ৩০ জন ব্যক্তির ওপর স্টাডি করে জানা গেছে, রাত জাগার সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা লোপ পাওয়ার হার সমানুপাতিক। সবকিছুতেই শৃঙ্খলার প্রয়োজন। মানুষ নিশাচর প্রাণী নয়। সকাল-দুপুর-বিকেল-রাত প্রতিটি সময়ের এক্টিভিটির মানুষের জীবনের ওপর প্রভাব রয়েছে। যারা ভোর পাঁচটায় ঘুমান স্বভাবতই সকালে সময়মত উঠতে পারেন না, আর উঠলেও সারাদিনে মস্তিষ্ক বা শরীর তার ছন্দ হারায়। সারাদিনের কাজেও মানসিক বিষাদ ভর করে।

কয়েকটি গবেষণায় এসেছে টানা ৩-৪ দিন রাত জেগে থাকলে বা পরিমিত না ঘুমালে শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ ব্যাঘাত হয় যার প্রভাবে উচ্চরক্তচাপ দেখা দিতে পারে। আর যদি তা নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা থাকে মানবদেহে।     

আমারসংবাদ/জেআই