Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

সহজে বাড়িতে কন্ডিশনার তৈরির ঘরোয়া পদ্ধতি

আগস্ট ১৭, ২০২১, ০৩:৩০ পিএম


সহজে বাড়িতে কন্ডিশনার তৈরির ঘরোয়া পদ্ধতি

ত্বকের সঙ্গে চুলের যত্ন নেওয়া অনেক জরুরি। চুলের যত্নে শ্যাম্পুর পাশাপাশি কন্ডিশনিং করাটা অনেক জরুরি। চুল ঝলমলে ও মোলায়েম করতে বাজারে অনেক ধরণের কন্ডিশনার, স্প্রে, জেল কিনতে পাওয়া যায়। তবে আপনি চাইলে বাড়িতে বানিয়ে ফেলতে পারেন কন্ডিশনার। 

চলুন জেনে নেওয়া যাক বাড়িতে কন্ডিশনার বানানোর পদ্ধতি। কন্ডিশনার চুলের পি এইচ ব্যাল্যান্সকে ঠিক রাখে। শ্যাম্পু করার চুলকে সফট ও সাইনি রাখতে সাহায্য করে। আর সেটা যদি বাড়ির তৈরি খাঁটি উপাদান হয়, তাহলে তো অসাধারণ। রান্নাঘরের খুব সহজ কিছু উপাদান আপনার চুলকে অসাধারণ কন্ডিশনিং করতে পারে।

১) নারকেল তেল দিয়ে তৈরি কন্ডিশনার: নারকেল তেল পাকা চুলকে কালো করতে সাহায্য করে। একটি বাটিতে ৩ থেকে ৪ চা চামচ নারকেল তেল দিন। তার সঙ্গে ২ চা চামচ মধু মেশান। এবার মিশ্রণটিকে হালকা গরম করুন। এরপরে চুলে লাগান। আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। চাইলে পরদিন শ্যাম্পু করতে পারেন।

২) ডিমের কন্ডিশনার: ডিম চুলের জন্য খুবই কার্যকরী। ডিমে থাকা ভিটামিন চুলকে শুষ্ক হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়। ডিমের সঙ্গে দই ও মেয়োনিজ মিশিয়ে প্যাক বানান। চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত প্যাক লাগাবেন। একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন প্যাক দেওয়ার পরে। ৪০ মিনিট রেখে তা  হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল মোলায়েম হয়।

৩) দারচিনি দিয়ে তৈরি কন্ডিশনার: ২চা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো, ২চা চামচ মধু, ২টি ডিম, ৪চা চামচ দুধ, মেয়োনিজ একটি পাত্রে মেশান এবং তারপরে গরম করে নিন। সেই গরম প্যাকটি স্ক্যাল্পে ভালো করে লাগিয়ে নিন। মিশ্রণটি কন্ডিশনিংও করবে এবং চুলের হারানো জেল্লা ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করবে। এই প্যাক সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করুন।

৪.দই ও ডিমের কন্ডিশনার: ড্যামেজ চুল? তাহলে এই কন্ডিশনার জাস্ট অসাধারণ কাজ করবে। এটা চুলের পি এইচ ব্যাল্যান্সকে ঠিক রাখবে। চুলকে দেবে একটা এক্সট্রা সাইন। এই কন্ডিশনার তৈরিতে আমাদের লাগবে ১টি ডিমের সাদা অংশ ও ৫/৬ চামচ টক দই।

প্রথমে ডিমের সাদা অংশটা ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এবার এতে দই মেশান। ভালো করে মেশান যাতে এটা মসৃণ একটা মিশ্রণ তৈরি হয়। এটা চুলে হালকা মাসাজ করে করে লাগান। শ্যাম্পু করার ঠিক ১৫ মিনিট আগে এই কন্ডিশনার লাগান। ১৫ মিনিট পর চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন।সপ্তাহে দুদিন করুন টানা একমাস।

৫.অলিভ অয়েল: এই কন্ডিশনার চুলকে কন্ডিশনিং তো করবেই সাথে, চুলের ময়েশ্চারকেও ধরে রাখবে। চুলকে সাইনি রাখতে সাহায্য করবে। এই কন্ডিশনার তৈরিতে আমাদের লাগবে ১টি ডিমের কুসুম (চুল বড় হলে দুটো কুসুমও চলতে পারে), ২চামচ অলিভ অয়েল ও প্রয়োজন মত পানি।

ডিমের কুসুম ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এবার এর সাথে মিশান অলিভ অয়েল। তারপর একটু পানি মেশান। এতে ব্লেন্ড করতে সুবিধা হবে। তারপর এই পুরো মিশ্রণটা চুলে লাগান। গোসল করার আধঘণ্টা আগে এই মিশ্রণটা চুলে লাগান। তারপর কোনও হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তবে গরম পানি চুলে ব্যবহার করবেন না।

৬. মধুর কন্ডিশনার: নারকেল তেল হল অসাধারণ কন্ডিশনার। এতে আছে ভিটামিন ও ফ্যাটি অ্যাসিড। যেটা চুলকে ভেতর থেকে নারিশ ও কন্ডিশন করে। এই কন্ডিশনার তৈরিতে আমাদের লাগবে ২চামচ নারিকেল তেল ও ১চামচ মধু।
নারিকেল তেলে মধু ভালো করে মিশিয়ে পুরো মিক্সচারটি চুলে ভালো করে লাগান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। একইভাবে শুধু নারকেল তেলও চুলে লাগাতে পারেন শ্যাম্পুর আগে।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার কন্ডিশনার: শুনতে একটু অন্যরকম লাগছে? কিন্তু অনেকেই জানেন না অ্যাপেল সিডার ভিনিগারও অসাধারণ কাজ করে। এটা চুলের পি এইচ লেবেলকে ঠিক রাখে।

গোসল করার আগে ২ চামচ আপেল সিডার ভিনেগারের সাথে পানি মিশিয়ে নিন। তারপর চুল শ্যাম্পুর পর আপনার রেগুলার কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন। কন্ডিশনার ধুয়ে এবার এই মিশ্রণটা লাগান। চুল হবে দারুণ ঝরঝরে এবং ময়েশ্চারাইজড।

আমারসংবাদ/জেআই