Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

মাঙ্কিপক্স হলে যা করতে হয়

আমারসংবাদ ডেস্ক

আমারসংবাদ ডেস্ক

জুন ৩, ২০২২, ০৬:২৩ পিএম


মাঙ্কিপক্স হলে যা করতে হয়

নতুন আতঙ্কের নাম মাঙ্কিপক্স। এটি এখন অনেকের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ। যদিও চিকিৎসকেরা অভয় দিয়ে বলছেন যে, এত বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু নতুন এই রোগ নিয়ে তো নিশ্চিন্ত থাকা দায়। প্রথমে জ্বর আসে, সেখান থেকে শরীরে র‌্যাশ দেখা দেয় দুইদিন পর। মাঙ্কিপক্স কী, এর উপসর্গ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। সঠিক তথ্য জানা থাকলে অযথা উদ্বিগ্ন হতে হবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ

ইউএস সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বা সিডিসি-র বক্তব্য অনুযায়ী, মাঙ্কিপক্স শুরু হয় জ্বর থেকে। এই অসুখের উপসর্গ হলো মাথাব্যথা, পেশীতে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ক্লান্তি ইত্যাদি। এর ফলে লিম্ফ নোডগুলো ফুলে যায়, স্মলপক্সের ক্ষেত্রে যা দেখা যায় না।

কতদিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা যায়?

মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ থাকে দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত। সংক্রমণ থেকে উপসর্গ আসা পর্যন্ত সময় হলো ৭ থেকে ১৪ দিন। এটি ৫ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত সময়ও নিতে পারে। র‌্যাশ বের হওয়ার এক-দুই দিন আগে থেকে শুরু করে খোসা ঝরে পড়ে যাওয়া পর্যন্ত এটি ছোঁয়াচে থ

মাঙ্কিপক্স বাড়ে যেভাবে

বিভিন্ন স্তরের মধ্য দিয়ে যায় মাঙ্কিপক্স। আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক অবস্থায় জ্বর আসে, প্রথম পাঁচ দিন পর্যন্ত এমন হতে পারে। মাথাব্যথা, লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেয়া দেয়। লিম্ফ নোডগুলো পুরো শরীরে ছড়ানো থাকে। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অন্যতম অংশ। 

যেসব গ্ল্যান্ড গলা, বগল, কুঁচকিতে থাকে সেগুলো ফুলে যায়। এটি মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ। রোগী শরীরে একেবারেই শক্তি পান না। 

জ্বর আসার দুইদিনের মধ্যেই ত্বকে র‌্যাশ বের হয়। বেশিরভাগ র‌্যাশ মুখেই দেখা যায়। সেইসঙ্গে হাতের তালু, পায়ের পাতা ও গোড়ালিতেও বের হতে পারে। এমনকী চোখের সাদা অংশ, চোখের মনি ও জনন অঙ্গেও র‌্যাশ দেখা দিতে পারে। 

সংক্রমণ থাকতে পারে দুই-চার সপ্তাহ। এই সময় খুবই কষ্টকর। কারণ প্রথমে র‌্যাশ তরল থাকে, সেখান থেকে পুঁজের সৃষ্টি হয়। এরপর শুকোতে শুরু করে। এই সময়ে রোগীকে আলাদা রাখতে হবে। এই অবস্থায় রোগীর দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, নিঃশ্বাসের কষ্ট, প্রস্রাব কমে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।

মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসা

মাঙ্কিপক্সের পরীক্ষিত কোনো চিকিৎসা এখনও নেই। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে সাপোর্টিং চিকিৎসার কথা। এই চিকিৎসা দেওয়া যেতে পারে উপসর্গ বুঝে। আক্রান্ত হয়েছে জানতে পারলেই রোগীকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। ত্বকে র‌্যাশ বের হলে সেজন্য চিকিৎসকেরা অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে থাকেন। সেইসঙ্গে প্রয়োজন হলে ড্রেসিং করানো হয়। মুখের ভেতরে ঘা হলে হালকা গরম পানি দিয়ে গার্গল করতে হবে। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলে ভয় না পেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের ওষুধ বা মলম ব্যবহার করবেন না।

আমারসংবাদ/আরইউ

 

Link copied!