Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

করোনায় কবি শঙ্খ ঘোষের মৃত্যু

আমার সংবাদ ডেস্ক

এপ্রিল ২১, ২০২১, ০৭:১৫ এএম


করোনায় কবি শঙ্খ ঘোষের মৃত্যু

কবি ও সাহিত্য সমালোচক শঙ্খ ঘোষ আর নেই। গত সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ভারতীয় প্রবীণ এই লেখক। ৮৯ বছর বয়সে পরলোকগমন করলেন তিনি।

গত ১২ এপ্রিল থেকে সর্দি কাশিতে ভুগছিলেন কবি শঙ্খ ঘোষ। পরে তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বর্ষীয়ান কবি হাসপাতালে যেতে অনিচ্ছুক ছিলেন। তাই হোম আইসোলেশনেই চলছিলো তার চিকিৎসা।

এদিকে বর্ষীয়ান ওই কবির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি শোকবার্তা বলেন, বাংলা সাহিত্য জগতে ইন্দ্রপতন, আমি গভীর শোকাহত এবং পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাই। রাষ্ট্রীয় সম্মানে তাকে বিদায় জানানো হবে। যদিও তিনি এসব পছন্দ করতেন না। তার করোনা শনাক্ত হয়েছিলো। আমি আমার চিফ সেক্রেটারিকে বলছি যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।

দীর্ঘ কর্মজীবনে নানা ভূমিকায় দেখা গেছে শঙ্খ ঘোষকে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব আইওয়া এবং বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করেছেন। ১৯৯২ সালে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরগ্রহণ করেন।

বছর দুয়েক আগে ‘মাটি’ নামের একটি কবিতায় মোদি সরকারের মুসলিমবিদ্বেষী নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন তিনি।

সাহিত্যজীবনে একাধিক সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন শঙ্খ ঘোষ। ১৯৭৭ সালে ‘বাবরের প্রার্থনা’ কাব্যগ্রন্থটির জন্য তিনি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার ‘সাহিত্য অকাদেমি’ পুরস্কার পান। ১৯৯৯ সালে কন্নড় ভাষা থেকে বাংলায় ‘রক্তকল্যাণ’ নাটকটি অনুবাদ করে ফের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান তিনি।

এছাড়াও রবীন্দ্র পুরস্কার, সরস্বতী সম্মান, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১১ সালে তাকে পদ্মভূষণে সম্মানিত করে ভারতের তৎকালীন সরকার।

শঙ্খ ঘোষের আসল নাম চিত্তপ্রিয় ঘোষ। তার পিতা মনীন্দ্রকুমার ঘোষ এবং মাতা অমলা ঘোষ। ১৯৩২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বর্তমান চাঁদপুর জেলায় তার জন্ম। বংশানুক্রমিকভাবে পৈত্রিক বাড়ি বরিশালের বানারিপাড়ায়। তবে শঙ্খ ঘোষ বড় হয়েছেন পাবনায়।

পিতার কর্মস্থল হওয়ায় তিনি বেশ কয়েক বছর পাবনায় অবস্থান করেন এবং সেখানকার চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৫১ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বাংলায় কলা বিভাগে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

আমারসংবাদ/আরএস