এরশাদ সোহেল
আগস্ট ১০, ২০২১, ০৬:২০ এএম
অনিন্দিতা, শুনছো কি!
আমি হৃদয় ছুঁতে চেয়েছি, দেহ নয়।
তুমি বোঝনি কখনো, চেয়ে দ্যাখোনি আমার নির্জন হৃদয়ের এপিঠ- ওপিঠ।
আমি আকড়ে ধরতে চেয়েছি তোমাকে, যেমনটা ধরেছে ঢেকিলতা ওই সুপোরি গাছকে।
শুধু আগ্নেয়গিরির মত উত্তপ্ত যৌবনকেই নয়, আমি ভালবাসি- তোমার শৈশব, যৌবন আর বয়োজেষ্ঠ্যতাকেও।
কামনার সাগরে ভাসতে চাইনি, শুনতে চেয়েছি তপ্ত বুকে মাথা রেখে শুদ্ধ হৃদয়ের টিক টিক সুরধ্বনি।
যদি একবার খুলে দেখতে, কলেজের আঙিনায়, পুতুলের হাতে গোজা, হৃদয়ের কারুকাজে যতনে লিখেছি চিঠি। তবেই বুঝতে, কাব্যের সব কথা, স্বপ্নের জালবোনা, নীড়ে ফেরা পাখিদের গীতিকথা লিখে টেনেছি ইতি।
সে গীতিতে হারিয়েছি কতশত বার, যতবার দখিনবিলে মৌমাছিরা তিলের ফুলে হয়েছে একাকার। নীড় খোঁজা প্রহরীর মত নির্জন পল্লীতে, গোধূলির শেষ বেলাতে, খুঁজে ফিরি শোধিত প্রেমের হাতছানি।
গহীনের রক্তক্ষরণ তোমার ওই কৃপণ হৃদয় আজও চোখ মেলে দ্যাখেনি। তাতে কি! আমার আমিতে ডুবে আছি যেমনটা চেয়েছো তুমি।
যে সুখের বারিধারায় মেতেছিলে উল্লাসে, সে সুখে আজ কেন এত খড়ার আভাস! তুমিতো বেশ আছো, তবে কি নির্দয় হৃদয়ের মোহ কি মেটেনি?
আজ কীসের এত আকুতি ওই হৃদ মন্দিরে, কেনো ধূসর আকাশে ঘনঘটার মৃদু ইঙিত! ভাল থাকাটাও কী ভাল লাগেনি তোমার! আমাকে আমার মতো থাকতে দাও নিভৃত তটে। যেতে হবে মহাকালের গহ্বরে।
আকুতি দেখার সময় নেই অনিন্দিতা!
আমারসংবাদ/এমএস